Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কমলালেবু

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:০৩ এএম

নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যানসার জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে দাবী করে বলা হয়-প্রতিদিন কমলার রস বা জুস পানে মরণাব্যাধি ক্যানসারকে প্রতিরোধ করা যায়। গবেষকরা জানান, কমলার রস শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে ক্যানসারের জীবাণু প্রতিরোধ করে। কমলার রসে ভিটামিন-সি-যুক্ত ফ্লাভোনয়েড জাতীয় খাদ্যোপাদান থাকায় এতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কমলা সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে পাওয়া যায় বেশী এবং দামেও সস্তা। কমলা এখন বিদেশি কোনও ফল নয়।


জনপ্রিয় এই ফলটির পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ হলোঃ ১০০গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবারহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।

কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যানসার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্তুতকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। কমলা বি ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের ৭ ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন। কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকাল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত অ্যন্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধ সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত লিমিয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস , পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

গবেষকরা জানান, কমলার রস দেহে কিছু জৈবিক প্রভাবও ফেলে। যেমন, এটি ক্যানসার জীবাণু প্রতিরোধী ক্ষতিকর জীবাণুর হাত থেকে জিনোম ও কোষ রক্ষাকারী বিকারগ্রস্ত প্রতিরোধী ও হরমোন নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। তাঁরা বলছেন, কমলার রস বিশেষ করে ক্যানসার আক্রমণ ও বিস্তারসহ প্রতিক্ষেত্রে কেমো-প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। যে-কোনো খাদ্যগ্রহণ অধিক পরিমাণে হয়ে গেলে পাকপ্রণালীতে অক্সিডেটিভ মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে লিউকোমিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে কমলার জুস। গরমে দেহে প্রশান্তি আনাসহ সর্দিগর্মি রোধেও কাজ করে কমলার জুস।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কমলালেবু

১০ ডিসেম্বর, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ