নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাপারটা অনুমিতই ছিল। গত ১০ বছরের সেরা ওয়ানডে একাদশ হবে, তাতে সাকিবের নাম না থাকাটাই হতো খবর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা সেই খবর হতে দেয়নি। গতকাল তিন সংস্করণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদাভাবে তিনটি দশকসেরা একাদশ নির্বাচন করেছে আইসিসি। তাতে ওয়ানডে দলে আছেন ব্যাটে-বলে এক দশকের বেশি সময় ধরে দাপট দেখানো সাকিব আল হাসান পেলেন স্বীকৃতি। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাওয়া আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে তিন সংস্করণেই শীর্ষে ওঠা একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির দশকসেরা একাদশে অবশ্য জায়গা পাননি সাকিব। গএকই দিন মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দশকের সেরা দলও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে পাঁচটি দলের ৫৫টি জায়গায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সাকিবই। সর্বোচ্চ তিন জন জায়গা পেয়েছেন ভারতের। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার আছেন দুই জন করে। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার আছেন একজন করে। নেই পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউ।
দশকসেরা ওয়ানডে একাদশের ব্যাটিংক্রমের পাঁচে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। আইসিসির ভোটিং একাডেমির সাংবাদিক ও সম্প্রচারকদের ভোটে নির্বাচিত করা হয়েছে এই দল। ১ জানুয়ারি ২০১১ থেকে ৭ অক্টোবর ২০২০ সালের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে যা গঠন করা হয়েছে। এই সময়ে সাকিব ১০৪ ওয়ানডে খেলেছেন। ৪০.৫৬ গড়ে ৪ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন তিন হাজার ৪৮৯। বাঁহাতি স্পিনে ৩১.৬১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১৩১টি।
সাকিব গত দশকে ওয়ানডেতে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেন ইংল্যান্ডে হওয়া সবশেষ বিশ্বকাপে। ব্যাট হাতে যেমন ছিলেন অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত ছিলেন বল হাতেও। ৮ ইনিংস খেলে ৮৬.৫৬ গড়ে ও ৯৬.০৩ স্ট্রাইক রেটে ৬০৬ রান করেন সাকিব। বল হাতে উইকেট ১১টি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের নজির গড়েন তিনি। আগে কখনও এক আসরে ১০ উইকেটের পাশে ৪০০ রানও ছিল না কারও।
দলে ওপেনার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের রোহিত শর্মা ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনে বিরাট কোহলি, চারে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। এরপর সাকিব। ছয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, দলটির অধিনায়ক ও উইকেটকিপারও তিনি।
দলে দ্বিতীয় অলরাউন্ডার ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে তিনি রেখেছিলেন বড় অবদান। পেস আক্রমণে গত দশকে সর্বোচ্চ ২৩০ উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কান লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ও নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ও সাকিব সামাল দেবেন স্পিন আক্রমণ।
ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টির দশকসেরা দলের অধিনায়কও সদ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ভারতের এম এস ধোনি। ছেলেদের দশকসেরা টেস্ট দলের অধিনায়ক ভারতের কোহলি। একমাত্র তিনিই আছেন তিন সংস্করণের দলেই।
আইসিসির দশকসেরা দল (ব্যাটিং ক্রমানুসারে)
টেস্ট
অ্যালিস্টার কুক (ইংল্যান্ড), ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), বিরাট কোহলি- অধিনায়ক (ভারত), স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), কুমার সাঙ্গাকারা- উইকেটকিপার (শ্রীলঙ্কা), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত), ডেল স্টেইন (দক্ষিণ আফ্রিকা), স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড) ও জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড)।
ওয়ানডে
রোহিত শর্মা (ভারত), ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), মহেন্দ্র সিং ধোনি- অধিনায়ক/উইকেটকিপার (ভারত), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)।
টি-২০
রোহিত শর্মা (ভারত), ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা),গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া), মহেন্দ্র সিং ধোনি- অধিনায়ক/উইকেটকিপার (ভারত), কাইরন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রশিদ খান (আফগানিস্তান), জসপ্রীত বুমরা (ভারত) ও লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।