নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে বড় হারে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু করলেও পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের কাছে বিধ্বস্ত হলো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন দলের গ্রুপে মোহামেডান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাকে। বিজয়ী দলের পক্ষে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার মোহাম্মদ অ্যাবিওলা নুরাত দু’টি এবং স্থানীয় মিডফিল্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগ ও ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান একটি করে গোল করেন। মুক্তিযোদ্ধার হয়ে এক গোল শোধ দেন উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড আকবার আলী খোলদারভ। এই জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকল সাদাকালোরা। আগামী বুধবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা অন্তত ড্র করলেও শেষ আট নিশ্চিত হবে মোহামেডানের।
আগের ম্যাচে আবাহনীর কাছে হেরে ফেডারেশন কাপে টিকে থাকতে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে মোহামেডানের জয়ের বিকল্প ছিলনা। অবশেষে তারা তা পেল এবং বড় ব্যবধানের জয়ই।
রোববার ডু অর ডাই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় মতিঝিলের দলটি। একের পর এক আক্রমণে সাদাকালোরা ব্যাতিব্যাস্ত করে তোলে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগকে। তারপরও মোহামেডান প্রথম গোল পায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ম্যাচের চার মিনিটে মোহামেডান অধিনায়ক উরু নাগাতার দারুন পাস দেন ফরোয়ার্ড আমির হাকিম বাপ্পিকে। তবে তার শট কর্ণারের বিনিময়ে ফেরান মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রিতম। ১৮ মিনিটে তৃতীয় কর্ণার পায় মোহামেডান। শাহেদ মিয়ার ছোট কর্নারে বল পান সোহাগ। তিনি পাস দেন অধিনায়ক নাগাতাকে। এই জাপানি মিডফিল্ডারের ডিফেন্স চেরা পাস ফের খুঁজে নেয় সোহাগকে। তার শটও কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক। ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোলের দেখা পায় মোহামেডান। বক্সের খুব কাছ থেকে ফ্রি কিকে বাঁ পায়ের দারুন সেট পিসে গোল করেন সোহাগ। বক্সের একটু বাইরে মোহামেডানের অ্যাবিওলা নুরাতকে ফাউল করেন মুক্তিযোদ্ধার এক খেলোয়াড়। রেফারি ফ্রি কিকের বাঁশি দিলে তাতেই গোল করে সাদাকালোদের উচ্ছ্বাসে ভাসান সোহাগ (১-০)। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে একগোল হজম করে মোহামেডান। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার সুজন মিয়ার নিখুঁত ক্রসে বক্সের মধ্য থেকে উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড আকবার আলী খোলদারভ হেডে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন (১-১)। সমতায় ফিরে উল্লাসে মেতে উঠলেও মুক্তিযোদ্ধার সেই উৎসব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ ৮ মিনিটের মধ্যে মোহামেডান আরও তিনটি গোল করে ম্যাচ থেকে প্রতিপক্ষকে ছিটকে দেয়। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সোহাগের কর্নারে মুক্তিযোদ্ধার আকবার আলীর মাথা ছুয়ে যাওয়া বলে হেড করেন মোহামেডানের অধিনায়ক উরু নাগাতা। সেই হেডের বলে মাথা ছুয়ে বল জালে পাঠান আতিকুজ্জামান (২-১)। মিনিট পাঁচেক পর ফের সাদাকালোদের গোলউৎসব। ৮০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে সজীবের ক্রসে অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় বল পান নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার মোহাম্মদ অ্যাবিওলা নুরাত। ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান তিনি (৩-১)। এই নুরাতই ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মোহামেডানের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এসময় একক প্রচেষ্টায় মুক্তিযোদ্ধার বক্সে ঢুকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন নুরাত (৪-১)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।