চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
অসংখ্য মাখলুকাতের মাঝে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ ও একমাত্র সামাজিক প্রানী। সামাজিক জীব হিসাবে মানুষ সমাজে একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল এবং পারস্পারিক সহযোগী। সমাজে নিরাপদে বসবাস করার জন্য প্রয়োজন রয়েছে নিরাপত্তার। এই নিরাপত্তা শুধু বহিঃশত্রুর জন্য নয়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রয়োজনও রয়েছে। সমাজ যদি বসবাসের জন্য উপযুক্ত ও নিরাপদ না হয় তাহলে মানব সমাজ এবং হিংস্র জীব জন্তুর মাঝে তেমন পার্থক্য থাকে না। বনে জঙ্গলে পশু পাখির যেমন নিরাপত্তা থাকে না অন্য হিংস্র জন্তুর আক্রমন থেকে, নিরাপদ থাকে না শিকারীর শিকার থেকে। যেকোন সময় অন্য কোন জন্তু বা পশু পাখির দ্বারা আক্রমনের সম্ভবনা থাকে। ঠিক অনূরূপভাবে মানব সমাজে সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সেই সমাজের কতিপয় ব্যক্তির অবস্থা জঙ্গলের জন্তু জানোয়ারের মতো হতে বাধ্য। এজন্য মানব সমাজের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
সামাজিক নিরাপত্তা বলতে সাধারণত আমরা বসবাসের নিরাপত্তাকে বুঝলেও ইসলামে সামাজিক নিরাপত্তা একটি ব্যাপক অর্থ বহন করে। সামাজিক নিরাপত্তা বলতে স্ব-স্ব ধর্ম পালন, মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, জীবনের নিরাপত্তা, বসবাসের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত থাকা, ব্যক্তির মান সম্মানের নিরাপত্তা, মত ও ধর্মের স্বাধীনতা, অধিকার প্রদানে সাম্য আচরণ, অপরাধ কর্ম দমন, নৈতিক শিক্ষা প্রদান ও আর্থিক অনাচারের প্রতিবাদ ইত্যাদি বিষয় যখন প্রতিষ্ঠিত থাকবে তখনই কেবল সামাজিক নিরাপত্তা আছে বলে মনে করা হবে। অনুরূপভাবে পরিবেশের ভারসাম্য থাকাও একটি সামাজিক নিরাপত্তা।
সমাজে সামাজিক নিরাপত্তা না থাকলে কি পরিবেশ তৈরি হতে পারে তা বর্তমান সমাজ ও বিশ^ ব্যবস্থায় অত্যন্ত স্পষ্ট ও দৃশ্যমান। সর্বত্র খুন, রাহাজানী, ছিনতাই, ইভটিজিং, ধর্ষণ, মাদক, চোরা চালান, যৌতুক, যৌতুকের জন্য হত্যা, নারী নির্যাতন আজ প্রতিদিনের চিত্র। প্রতিনিয়ত বায়ু দুষন, পানি দুষণ ও শব্দ দূষণের মাধ্যমে সমাজকে বসবাসের অনুপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়াও শ্রমের অবমুল্যয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানী, পিতামাতার অসম্মান, অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রতিযোগীতার কারনে আমাদের সমাজ পরিণত হয়েছে একটি অনিরাপদ ও আশ্রয়হীন সমাজে। শিশু ও ভ্রুন হত্যার মাধ্যমে বর্তমান সমাজ হার মানিয়েছে জাহেলি যুগের বর্বরতাকেও। মানুষের অনৈতিক ও পশু সুলভ আচরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ইসলাম পূর্ব জাহেলি সমাজ কেমন ছিলো। মানুষের আকৃতিতে জন্ম নেওয়া একজন শিশু কতটা অমানবিক আচরণ তার চোখের সমানে দেখলে সে একজন হিংস্র মানবে পরিণত হতে পারে আমরা কি তা কল্পনা করতে পারি! একটি অনিরাপদ সমাজে জন্ম নিয়ে নিজেকে একটু নিরাপদ রাখার আপ্রাণ চেষ্টাই হয়তো আমাদেকে এতটা কঠিন করে তুলেছে। যার কারণে নিজের পিতামাতার সাথে জাহেলি আচরণ করতেও আমরা দ্বিধা করছি না। আপন মনে পাপের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে যেতে দেখেও আমরা এক মুহুর্ত ভাবি না। মানুষে মানুষে রক্তপাত, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিজেকে সম্পৃক্ত করি অনায়াসে। সমাজকে সুন্দর করে সাজানোর পরিবর্তে একটি সাজানো সমাজকে ভাঙ্গার কাজে নিজেকে অগ্রগামী করি সব সময়। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না। সুরা আরাফের ৬৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, আর তাঁকে ভয়-ভীতি ও আশা-ভরসা নিয়ে ডাকতে থাক, আল্লাহর দয়া তো (সব সময়) তাদের নিকটে আছে যারা সৎ কাজ করে”।
সামাজিক এ সকল সমস্যা দূরীকরণ ও সর্বত্র নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ইসলাম দিয়েছে সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ সমাধান এবং অনুকরণীয় আদর্শ। ইসলামী আদর্শ দূরে ঠেলে দিয়ে আমরা কখনো একিট শান্তিপূর্ণ সমাজের কল্পনা করতে পারি না। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে মানবতার বন্ধু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) যে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আর্দশ সমাজ সগঠন ও পরিচালনা করে গেছেন বর্তমান বিশ্বে চলমান বিপর্যয় ও বিশৃংখলা দুর করতে আমাদের আবার ইসলামের কাছে ফিরে আসতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে ইসলাম যে আদর্শ আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে তা সংক্ষেপে আলাচনার দাবী রাখে।
ইসলাম সব সময়ই পরিবেশ বান্ধব কাজের নমুনা পেশ করে থাকে। আমরা যদি রাসুল (সাঃ) এর মক্কা বিজয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করি অবশ্যই দেখতে পাই রাসুল (সাঃ) তার সঙ্গী সাথীদের বলেছেন কোন ফলবান ব্ক্ষৃ না কাটতে। গাছের পাতা ছিড়তেও নিষেধ করেছেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরিবেশ বান্ধব এ ভুমিকা আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয়।
কোন কাফের মুশরিককে হত্যা না করে অত্যন্ত শান্ত পরিবেশে মক্কা বিজয়ের ঘটনা সামাজিক নিরাপত্তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। ক্ষমতা ও পযাপ্ত সুযোগ থাকার পরেও কাউকে হত্যা না করে সকলকে ক্ষমা করার মাধ্যমে যে নজির স্থাপন হয়েছে তা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। সকল কাফের, শত্রু-মিত্র সবাই ইসলামের কাছ নিরাপত্তা লাভ করে।
সামাজিক নিরাপত্তার আরেকটি দৃষ্টান্ত হলো খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খনন। শত্রু বাহিনীর হাত থেকে সমাজ ও সমাজের সকল মানুষকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে পরিখা খনন করা হয় যা বহিঃশত্রুর হাত থেকে সমাজ রক্ষার অন্যতম কৌশল হিসাবে সারা পৃথিবীতে অনুরণীয় হয়ে রয়েছে।
রক্তপাত বা যুদ্ধ বিগ্রহ কখনো বন্ধু বা শত্রু কারো জন্যই সুফল বয়ে আনে না। এ জন্য রাসুল (সাঃ) শত্রু-মিত্র ও অন্যান্য দল মত সকলের সাথে সব সসময় শান্তি চুক্তি করেছেন যেন রক্তপাত না ঘটে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বজায় থাকে। রাসুল (সাঃ) তার ঐতিহাসিক মদিনা সনদ ও হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে যে শান্তি চুক্তি করেন তার মাধ্যমে আরব সমাজে দীঘ দিনের দ্বন্দ্ব ও রক্তপাত বন্ধ হয়ে একটি নিরাপদ আবাস ভূমিতে পরিণত হয়।
নারী ও শিশুর নিরাপত্তায় ইসলামের যুগান্তকারী পদক্ষেপ সকল যুগের জন্য একটি অনুস্বরণীয় আর্দশ হয়ে আছে। যে সমাজের লোকেরা নারী শিশুদের জীবন্ত কবর দিতো সেই সমাজের লোকেরাই কন্যা সন্তানকে সবচেয়ে বেশি মযাদা দিয়েছে শুধুমাত্র ইসলামের আদর্শের কারণে। নারীরা ছিলো সমাজে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ আশ্রয়হীন এবং ভোগের বস্তু। ইসলামের আগমনের পর সেই সমাজে নারী পেয়েছে স্বাধীনতা, নিরাপদ হয়েছে তাদের বসবাস ও কর্মসংস্থান। ওয়ারিশ বন্টন নীতিতে নারী পেয়েছে স্বত্তাধিকার। হযরত ওমর (রাঃ) তার বায়তুলমাল (রাষ্ট্রীয় ধনভান্ডার) হতে মাতৃদুগ্ধবঞ্চিত শিশু, বৃদ্ধ ও রুগ্ন ব্যক্তির জন্য মাসিক বৃত্তি নির্ধারণ করেন। প্রকৃতি ও বৈশিষ্টের দিক থেকে এ খাতকে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলে অভিহিত করা হয়।
ইসলাম একমাত্র জীবন ব্যবস্থা যেখানে রয়েছে অর্থনীতির সুষম বন্টন বা স্থায়ী সমাধান। চক্রবৃদ্ধি সুদ বাতিল করে যাকাত ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে ধনী গরীবের বৈষম্য দুর করেছে। সুদের যাতাকলে পিষ্ঠ হওয়া অসহায় মানুষের জন্য ইসলাম কর্জে হাসানার ব্যবস্থা করে। ফলে অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার অর্থনৈতিক মুক্তি পায় এবং স্বাবলম্বী হতে সচেষ্ট হয়। সর্বপরি ইসলাম সকল শ্রেণির মানুষের অথনৈতিক নিরাপত্তার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সমাজ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছে।
ধষণ, ইভটিজিং, মাদক, যৌন হয়রানী, নারী ও শিশু নিযাতন রোধে ইসলাম মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের মধ্যে দিয়ে মানব সমাজকে নিরাপত্তার চাদরে আবৃত রাখার পদক্ষেপ যুগে যুগে গ্রহণ করে চলেছে। সমাজে যখন জাহেলিয়াতের জয় জয়কার অবস্থা বিরাজ করছিলো তখন রাসুর (সাঃ) ঘোষনা করেছিলেন “ এমন একটি সময় আসবে যখন সানা থেকে শুরু করে হাজরামাউত পযন্ত একজন সুন্দরী রমনী ধন সম্পদ সহ অন্ধকারে যাতায়াত করবে অথচ তার মনের মধ্যে কোন চোর ডাকাত বা ধষণের ভয় থাকবে না”। শুধু কথায় নয় রাসুল (সাঃ) এটি বাস্তবায়ন করে গেছেন। হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে দূর্ভিক্ষের সময় চুরির শাস্তি রহিত করার নমুনাও পাওয়া যায়। আরবীতে একটি প্রবাদ আছে “ দারিদ্রতা মানুষকে কুফরির দিকে নিয়ে যায়”। এ জন্য ইসলামে সন্দেহের ভিত্তিতে দন্ডবিধি মওকুফ রাখা হয়। ন্যায় বিচার নিশ্চিত এবং স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) বলেন একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজনকে দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ পিতার অপরাধে সন্তানকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। ইসলামের এ বিধানের ফলে সমাজে যুগ যুগ ধরে লেগে থাকা সামাজিক সংঘর্ষের অবসান ঘটে এবং শান্তি ফিরে আসে। সুতরাং বর্তমান সমাজেও চলমান সকল অপরাধ কর্ম থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আলোর পথে আনতে ইসলামী অনুশাসনের কোন বিকল্প নেই।
শ্রমিকের মুিক্ত। ইসলাম আবিভাবের পূর্বে সমাজে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কোন মুল্যায়ন ছিলো না। রাসুল (সাঃ) ঘোষনা করেন “ তোমরা শ্রমিকের পারিশ্রমিক তার গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই পরিশোধ করো”। শুধু তাই নয় ইসলাম শ্রমিক আর মালিককে ভাই ভাই সম্পর্ক বলে উল্লেখ করেছে। শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ আজ আমাদের সমাজে যে হারে অবহেলিত সেখান থেকে মুক্তির জন্য ইসলামই একমাত্র অনুরণীয় পথ।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দূরীভূত করে তার স্থলে ধর্ম-বর্ণ সকলের প্রতি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপনে ইসলাম একমাত্র সমাধান স্থল। জাহেলি সমাজে দীর্ঘদিনের ধর্মীয় ও গোত্রগত সংঘাতের সমাধান দিয়েছে ইসলাম। ইসলামের সুমহান ছায়াতলে সকলে তাদের স্ব-স্ব ধর্ম পালন করেছে অত্যন্ত নিরাপদে। কোরআনে বলা হয়েছে “ দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই”। সুরা আনয়াম এর ১০৮ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ “আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যাকে ডাকে তোমরা তাকে গালি দিও না। কেননা তারা তাদের অজ্ঞতাপ্রসুত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আল্লাকে গালি দেবে।” সুরা মুমতাহিনা এর ৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে: “দীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি, আর তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দেয়নি তাদের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করতে আর ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করতে আলাহ নিষেধ করেন নি। আলাহ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন”। পৃথিবী ব্যাপী চলমান ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নিরসনে আজ ইসলাম ই একমাত্র অনুকরণীয় আদর্শ।
বর্তমান পৃথিবী ব্যাপী অধিকাংশ সমাজের একটি নির্মম চিত্র হলো বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধ বয়সের পিতা মাতাকে কিছু মানুষরুপী নরপশু রেখে আসে অসহায় এই স্থানে যা সমাজ রাষ্ট্র সবার জন্য কলংক জনক। কিন্তু ইসলাম এ ব্যাপারে শুধু উদারতা নয় বরং তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভাল ব্যবহারের হুকুম দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে তোমরা আমাকে ছাড়া আর কারো ইবাদত করো না এবং পিতামাতার সাথে সদাচারণ করো। তাদের মধ্যে কেউ বা তারা উভয়ে যদি বার্ধক্যে উপনীত হন তাহলে তুমি তাদের প্রতি উহ শব্দটিও উচ্চারণ করো না, তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সাথে নম্র ভাবে কথা বলো।
সুরা বনী ইসরাঈলঃ ২৩-২৪ । হযরত ওমর (রাঃ) বলেন “ যৌবনে তাদের থেকে শ্রম নিবে আর বার্ধক্যে তাদের অভুক্ত রাখবে এটা হতে পারে না”।
সমাজের সকল নাগরিকের অধিকার আদায় এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। রাসুল (সাঃ) বলেন: “মুসলমান সেই ব্যক্তি যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে” (বুখারী ও মুসলিম)। তিনি আরো বলেন: “সেই প্রকৃত মুমিন যার কাছে অন্য মুমিনের রক্ত ও সম্পদ নিরাপদ থাকে” ( তিরমিযী)। পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের সবার উচিত প্রতিটি সমাজ ব্যবস্থায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা। সামাজিক সমস্যায় আমাদের সমাজ আজ ধ্বংসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে। একটি সুন্দর সোনালী সমাজ গঠনের জন্য ইসলামী আদর্শের অনুসরণ এখন সময়ের দাবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।