Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৫০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে কৃষক আন্দোলনে বৃদ্ধারা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৪১ এএম

ভারতের কৃষিখাত সংস্কারের লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি আইন পাস হয়েছে। বিতর্কিত এই আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় আন্দোলন করছেন ভারতীয় কৃষকরা। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষক আন্দোলন ২৮ দিন ছাড়াল।
এর মধ্যেই কৃষক আন্দোলনে শামিল হতে পাঞ্জাবের পাতিয়ালা থেকে দলবল নিয়ে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় হাজির হলেন ষাটোর্ধ মনজিৎ কাউর। ঘরের ছেলেরা নিজেদের দাবি আদায়ে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিল্লিতে বসে রয়েছেন। তাই তিনি আর চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারেননি।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ২৫০ কিলোমিটারের বেশি জিপ চালিয়ে সিঙ্ঘু সীমানায় হাজির হয়েছেন মনজিৎ। একটাই লক্ষ্য চলমান আন্দোলনে কৃষকদের পাশে থেকে আরও জোরদার লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া।
মনজিৎ কাউর জানান, দাবি আদায়ে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিল্লিতে বসে রয়েছেন ঘরের পুরুষ ছেলেরা। তাই তিনি আর চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারেননি। আর তাই কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ২৫০ কিলোমিটারের বেশি জিপ চালিয়ে সিংঘু সীমানায় হাজির হয়েছেন তিনি।
গত ২৮ দিন ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন ভারতের কৃষকরা। এর পরও সরকারের পক্ষ থেকে আইন বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সিংঘু সীমান্তে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেন কৃষকরা। সেখান থেকে সংগৃহীত রক্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একাধিক খোলা চিঠি লেখেন তারা।
সমস্যার সমাধান কবে হবে জানে না কৃষকরা। সরকার এবং কৃষক দুপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি।
কৃষিমন্ত্রী সমস্যা সমাদানে বৈঠকে বসার আহ্বান জানাননি। তিনি আরও জানান, সরকার যতক্ষণ না এই তিনটি আইন প্রত্যাহার করছে, কৃষকরা তাদের অবস্থান থেকে পিছু হঠবে না। টিকায়েতের কথায়, সরকারকে আমাদের কাছে আসতে হবে। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতেও সিংঘু সীমানায় আন্দোলনরত এক কৃষক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুদিন আগে আরও এক কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। সকাল থেকেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকরা। জাতীয় সড়কের ওপর বসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। ফলে দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আটকে পড়েছে বহু যানবাহন।
অন্যদিকে গত ৯ দিন ধরে অবরুদ্ধ দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে। কৃষক আন্দোলনকে জোরদার করতে মহারাষ্ট্র থেকে সোমবারই রওনা দিয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। অন্য রাজ্যের কৃষকদেরও এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। সূত্র : আনন্দবাজার, ডিএনডিটিভি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ