মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে বায়ুদূষণের কারণে গত বছর ১৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা ২০১৭ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের এক প্রতিবেদনে এমনটা উঠে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে ভারতের বেশ কয়েকটি শহর রয়েছে। ২০১৭ সালে দূষিত বায়ুর কারণে দেশটিতে ১২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। খবর রয়টার্সের
দীর্ঘ সময় ধরেই ভারতের জন্য বড় ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ। বিশেষ করে শীতকালীন মৌসুমে দূষণের কারণে রীতিমতো অচল হয়ে পড়ে দেশটির জনজীবন। রাজধানী দিল্লি আলোচনার কেন্দ্রে থাকলেও অন্য অঞ্চলগুলোও খুব একটা পিছিয়ে নেয়। পরিস্থিতি বরং প্রতিনিয়ত যা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক দূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে আছে ভারতের শহরগুলো, যারা প্রতিনিয়ত খারাপ বায়ুর কারণে মৃত্যুর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালের জন্য করা গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণের কারণে দেশটিতে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১২ লাখ ৪০ হাজার, যা ছিল মোট মৃত্যু সংখ্যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
এ বিশ্লেষণ বলছে, দূষণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ফুসফুসের ক্যান্সার, হূদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, নবজাতকদের সমস্যা এবং ছানি পড়া রোগ হচ্ছে। তবে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দিল্লিকে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত করে রেখেছে বায়ুদূষণ, যেখানে শীতকালীন আকাশ নোংরা বায়ু দ্বারা আবৃত হয়ে থাকে। পাশাপাশি দূষণের কারণে মাথাপিছু অর্থনৈতিক ক্ষতিও এখন রেকর্ড স্পর্শ করেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের প্রাণহানিতে ভারতের অর্থনীতিতে সর্বমোট ৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার বা জিডিপির ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ ক্ষতির কারণ হয়েছে এটি। প্রবৃদ্ধির শতাংশের হিসাবে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছে দরিদ্র এবং জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও বিহারকে।
গবেষণায় বলা হয়, কভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত লকডাউন চলাকালে ভারতজুড়ে বাতাসের মানের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বিধিনিষেধ শিথিল করার পর পরিস্থিতি আবার বদলে যেতে শুরু করে। ফলে এখন এসে দূষণ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইঙ্গিত দিয়ে বলছে, মানুষের ক্রিয়াকলাপ কমানোর মাধ্যমে বায়ুদূষণও কমানো সম্ভব।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য নির্ধারিত দূষণ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচিগুলোতে বিনিয়োগ আরো বাড়াতে হবে। ২০২৪ সালের মাধ্যমে সেটিকে ৫ ট্রিলিয়নে উন্নীত করতে হবে, যা এখন আছে ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দূষণের তালিকায় শীর্ষ ২০ শহরের মাঝে ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর স্থান করে নিয়েছে। যেখানে নামগুলো হচ্ছে নয়াদিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাই। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।