Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নেপাল নিয়ে উদ্বেগে মোদি সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৩৩ পিএম

নেপালে সৃষ্টি হওয়া রাজনৈতিক সঙ্কটে উদ্বিগ্ন ভারতের মোদি সরকারও। চীনের সাথে বিরোধের আবহে নেপালের সমর্থন ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নেপালে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী অন্তর্বর্তী নির্বাচনের কথা ঘোষণা করার ফলে সেখানে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বিষয়টির দিকে সতর্ক নজর রাখলেও এখনও প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেয়নি নয়াদিল্লি।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, হাওয়া কোন দিকে বইবে তা না বুঝে আগে থেকে কোনও মন্তব্য করে নেপাল বিতর্কে নিজেদের জড়াতে চায় না সাউথ ব্লক। তবে ঘরোয়া ভাবে জানানো হচ্ছে, এই ঘটনায় আপাত ভাবে নেপালে বেশ কিছু বছর ধরে তৈরি হওয়া ভারত-বিরোধী আবেগ কিছুটা থমকে যাবে। হয়তো কিছু দিনের জন্য রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে নেপালকে ব্যবহার করে চীনের ভারতের উপরে চাপ তৈরির প্রয়াসও মুলতুবি থাকবে। মানচিত্র পরিবর্তন করে ভারতের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকাকে নেপালের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওলি সরকার, নতুন সরকার এলে হয়তো তাকেও বদলানো সহজতর হবে। কিন্তু এ হেন টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বির্পযস্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে বেইজিং-এর প্রভাব বাড়বে। গোটা বিষয়টিই সীমান্ত রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের এক কূটনৈতিক কর্মকর্তা জানান, “ভারত ঐতিহাসিক ভাবে নেপালে গণতন্ত্র এবং প্রগতিশীল পরিবর্তনের পক্ষে নিজের সমর্থন দিয়ে এসেছে। নেপালের সুস্থিতি এবং নিরাপত্তা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে দেশে দীর্ঘদিন অস্থিরতা বহাল থাকলে বিভিন্ন বাইরের শক্তির উত্থান ঘটবে। তার মধ্যে রয়েছে তৃতীয় কোনও দেশ বা স্বার্থ।” তার মতে, এই অস্থিরতা চললে, প্রাথমিক ভাবে নেপালের কমিউনিস্ট জোট দুর্বল হবে। আর দীর্ঘমেয়াদী ভাবে ক্ষতি হবে সে দেশের গণতন্ত্রের।

নয়াদিল্লির মতে, নেপাল বেশ কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছিল। কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিতে না পারা, অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতি, শাসক দলের মধ্যে বিরুদ্ধ স্বর, রাস্তায় রাজতন্ত্র এবং হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে আন্দোলন—সব মিলিয়ে অস্থির করে রেখেছিল ওলি সরকারকে। আপাতত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেপালে নির্বাচন হবে কি না তা স্পষ্ট নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তা না হলে সে দেশে ফের তৈরি হবে সাংবিধানিক সঙ্কট। যা ভারতের জন্যও যথেষ্ট সমস্যার বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ