Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীরে জয়ের পথে ফারুক আবদুল্লাহর জোট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:০৭ পিএম

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের (ডিডিসি) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দখল করল ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন গুপকর জোট। মোট ২৮০টি আসনের মধ্যে রাত পর্যন্ত ২৫১টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও অবধি ৯৯টি আসন জিতেছে তারা। ৭৭টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। জম্মুতে প্রত্যাশা মতোই ভাল ফল করেছে তারা। উপত্যকায় জিতেছে তিনটি আসন। ৪৫টি আসনে পেয়েছেন নির্দলেরা। কংগ্রেস জিতেছে ২২টিতে। ফারুকের দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৫৬টি আসন। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন হলো ভারতশাসিত এই অঞ্চলে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ২৮০ আসনের মধ্যে ২৫১টির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯৯ আসন জিতেছে গুপকর জোট। আর ফারুক আবদুল্লাহর দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৫৬টি আসন। ৭৭ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। ৪৫টি আসন পেয়েছেন নির্দলীয়রা। কংগ্রেস জিতেছে ২২টিতে।
দক্ষিণ কাশ্মীরে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে গুপকর জোট। এখন পর্যন্ত ৪৫টি আসনে জিতছে তারা। ১০টি আসনে এগিয়ে নির্দলীয়রা। ৫টিতে এগিয়ে কংগ্রেস। উত্তর কাশ্মীরে ১৩টি আসনে এগিয়ে জোট প্রার্থীরা। ১১টিতে নির্দলীয়রা। শ্রীনগর জেলায় ১৪টি ডিডিসি আসনের মধ্যে সাতটিতে জিতেছে নির্দলীয়রা। নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আপনি পার্টি জিতেছে ৩টিতে।

জম্মু-কাশ্মীর মিলিয়ে ডিডিসির ২৮০ আসনে ২৮ নভেম্বর থেকে আট দফায় ভোট হয়েছে। এছাড়া কাশ্মীরে ৯৩৫টি পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চের ১১ হাজার ৮১৪টি শূন্যপদে ভোট হয়েছে। জম্মুতেও ভোট হয়েছে ১৩৫টি পঞ্চায়েত ও ৩৩৯টি সরপঞ্চের শূন্যপদে।

গুপকর জোটের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের কাছে এই জয়ের তাৎপর্য অনেক। হঠাৎ ভোট ঘোষণার ফলে দলের কেউই তেমন প্রচারের সুযোগ পাননি। তার পরও এই ফল জোটের কাছে বড় সাফল্য। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভোটের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আবদুল্লাহর মতে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যা ঘটেছে তা বাসিন্দারা সমর্থন করেন না। সেটাই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ সম্পাদক বিবোধ গুপ্তের দাবি, তিনটি আসনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয় বুঝিয়ে দিচ্ছে উপত্যকায় পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
রাজনীতিকেরা মনে করাচ্ছেন, গুপকর জোটকে ‘গুপকর গ্যাং’ নাম দিয়ে গোড়া থেকেই কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পরে এখন ফারুক-সহ গুপকর জোটের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালানো হচ্ছে। আচমকা ভোট ঘোষণার ফলে প্রস্তুতির তেমন সুযোগও পায়নি বিরোধী দলগুলি। ফারুক, ওমর ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি প্রচারও করেননি। তার পরেও এই ফল জোটের কাছে বড় সাফল্য।

মনোনয়ন পেশ করার পরেই জঙ্গি-যোগের অভিযোগে পিডিপি-র যুব নেতা ওয়াহিদ প্যারাকে হেফাজতে নিয়েছিল এনআইএ। বন্দি অবস্থাতেই জিতেছেন তিনি। গুপকর জোটের নেতাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ, নেতা-সহ বাসিন্দাদের বন্দি করার মতো পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মানুষ। খবর এনডিটিভির।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ