Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডাক পড়ল বাঙালির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

মাছ চিনতে হবে। চেখে দেখা যাবে না। চোখ বন্ধ থাকবে। আঁশটে গন্ধে চিনতে হবে, মাছ আসল নাকি নকল! বাঙালির কাছে এর থেকে সহজ কাজ আর কী হতে পারে! যে বাঙালির রোজ মাছ পাতে না পড়লে চলে না, এমন কাজ তো তার কাছে পানি-ভাত। কিন্ত না। বাঙালি নকল মাছ চিনতে পারল না। নকল মাছের গন্ধে ভুল হল বাঙালির। আসল বলে ভুল করে বসল মাছপ্রেমী বাঙালি। আইআইটি দিল্লির ল্যাবে ডাক পড়েছিল বাঙালির। কাব্যা নামের এক অধ্যাপক বাঙালি ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকজনকে ডেকেছিলেন। কারণ বাঙালির রোজ মাছ খাওয়ার অভ্যেস। সেখানে ব্লাইন্ড টেস্টিং-এ ফেল করল বাঙালি।

অনেক মানুষকেই চিকিৎকরা আমিশ খেতে বারণ করেন। আবার দেশের অনেক মানুষ রয়েছেন নিরামিশাষী। তাঁদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে কী করে! তাঁদের কথা ভেবেই আইআইটি দিল্লির বিজ্ঞানীরা প্ল্যান্ট বেসড মাছ ও গোশত তৈরি করলেন। অর্থাৎ, ল্যাবে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মাছ ও গোশত। সেই নকল মাছের গন্ধ শুঁকে চিনতে পারল না মাছপ্রিয় বাঙালি। গন্ধ নাকি একেবারে আসল মাছের মতোই। আইআইটি দিল্লির সেন্টার ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি যে গোশত কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন করেছে তার স্বাদও একেবারে আসল গোশতের মতোই। দাবি করেছেন ল্যাবের অনেকেই।

মঙ্ক মিট বা ফিস বলা হচ্ছে এ আবিষ্কারকে। এর আগে কৃত্রিম উপায়ে ডিম উৎপাদন করেছিলেন প্রফেসর কাব্যা ও তার টিম। তার জন্য ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর তরফে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। জাতিসংঘের একটি দল সেবার দিল্লিতে এসে সেই কৃত্রিম ডিম সেদ্ধ করে দেখেছিল। এবার মাছ ও গোশত উৎপাদনেও বড় সাফল্যের দাবি জানাচ্ছে কাব্যা ও তার দল। ইতোমধ্যে বার্গার, কাঠি রোলে কৃত্রিম গোশত দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাদ-ও গন্ধে আসল গোশতের সঙ্গে কোনও ফারাক নেই বলে জানিয়েছেন অনেকেই। সূত্র : জি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাছ

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ