Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটিয়ায় মাদকে বাধা : মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

মাদকে বাধা দেয়ায় পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ হুলাইন গ্রামে মা ও ছেলেসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। ছেলে রহিম উদ্দীন পারভেজ পিপলু পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত পিপলু ও তার মা নুর বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে যুবলীগ নেতা পিপলুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিপলুর পিতা সামশুল আলম বাদী হয়ে গত ২০ ডিসেম্বর পটিয়া থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, যুবলীগ নেতা পিপলু এলাকায় মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ করে আসছিল। এ অবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর আজাদ নামের একজন বখাটে মদ পান করে মাতলামী করার সময় তাকে মদ পান না করার জন্য পিপলু নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজাদ ও এরশাদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন হাতে, কিরিচ, কাঁচের বোতল ও হকিস্টিক নিয়ে ঘটনার দিন অতর্কিত পিপলুর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এসময় কিরিচের কোপে ও কাঁচের বোতলের আঘাতে পিপলুর মাথায় ও হাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পিপলুর চিৎকারে মা নুর বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও হকিস্টিক দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় মা ছেলে দুইজন ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাদের মৃত্যু ভেবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থা খারাপ দেখে দ্রæত এ্যাম্বুলেন্স যোগে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে হামলাকারীরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মামলার বাদী সামশুল আলম জানিয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, এই ঘটনায় পটিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 



 

Show all comments
  • md.moniruzzaman ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:০২ এএম says : 0
    ইসলাম কোরআন-হাদিসে মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি ইসলাম ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৮, ১১:১০ এএম কোরআন-হাদিসে মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি বর্তমান সময়ের মারাত্মক সমস্যাবলির মধ্যে মাদক ও মাদকাসক্তি অন্যতম একটি। বিশেষত যুব সমাজের জন্য মাদক ও মাদকাসক্তি মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত এর বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য সম্ভাবনাময় জীবন। ইসলামে মাদক হারাম। যে কোনো মাদকবস্তু কেনা-বেচা এবং সেবনও হারাম। মদ সেবনের দ্বারা মানুষের বিবেক ঠিক থাকে না। তখন তার দ্বারা যে কোনো অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। তাই মাদকের ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে এসেছে কঠোর হুঁশিয়ারি। পবিত্র কুরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা, লটারী এসবই শয়তানের অপবিত্র কাজ। তোমরা উহা হতে বিরত থাকো। আশা করা যায়, তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারবে। (সূরা মায়িদা- ৯০) অন্যত্র আল্লাহপাক তাদের অভিসম্পাত দিয়েছেন, যারা মদ পান করে, যারা অন্যকে পান করায়, যারা বিক্রি করে, যারা ক্রয় করে, যারা তা নিংড়ায়, যারা উৎপাদন করে, যারা বহন করে এবং যাদের নিকটে বহন করা হয়- এটাই হাদীসের ভাষ্য। কুরআন মাজিদের আরেক জায়গায় ইরশাদ হয়েছে, শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্ধেষের সৃষ্টি করতে চায় এবং আল্লাহর জিকির ও নামাজ হতে তোমাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে। তাই তোমরা এসব জিনিস হতে বিরত থাকবে। (সূরা মায়িদা-৯১)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ