বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১২ নং কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের বেহাল দশা।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ঝুঁকি পুর্ন ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বররা। তারা জরাজির্ন ভাঙ্গাচোড়া পরিত্যাক্ত এই ভবনে জিবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়নে বসবাসরত ২৪ হাজার মানুষকে সেবা দিয়ে আসছেন। এর মধ্য বর্তমান চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঝুকি মাথায় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছেন। ভবনের এ অবস্হা দেখে ২০১১ সালে উত্তম কুমার বাড়ৈ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১২ সালে নতুন ভবন নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করার জন্য চেয়ারম্যানের আবেদনটি স্হানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দেন। পরবর্তিতে স্হানীয় সরকার বিভাগ সরেজমিন তদন্ত করে নতুন ভবন নির্মানের জন্য কাগজপত্র চেয়ে ততকালিন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমানের কাছে পত্র প্রেরন করলে ২০১৪ সালে জেলা প্রশাসক কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ প্রস্তাব প্রেরন করেন। এর পর থেকে ভবন নির্মানের লক্ষে আর স্হানীয় সরকার বিভাগের কোন কার্যক্রম চোখে পরেনি।
ফলে চেয়ারম্যান মেম্বর ও স্হানীয়রা হতাস।
তারা বলছেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নীজ নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের এমন বেহাল দশা যা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। প্যানেল চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ বাড়ৈ বলেন নতুন ভবন নির্মানের জন্য চেয়ারম্যানের সাথে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। স্হানীয়
স্বপন কুমার বিশ্বাস,নির্মল কুমার মন্ডল বলেন ঠিকাদার ভবনটিতে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই ভবনটি ভেঙ্গে চুড়ে জরাজির্ন হয়ে ব্যবহারের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে পরেছে। মাঝে মধ্যে ছাদের পলেস্তর খুলে মানুষের মাথায় পড়ছে। ভবনটি অচিরেই নির্মান করা না হলে যে কোন সময় জীবন নাশের মত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে ২০০০ সালে হিরন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া ভবনটির নির্মান কাজ করেন।
এব্যপারে কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ বলেন দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি ঝুঁকি পুর্ন অবস্হায় রয়েছে এবং ব্যবহারের সম্পুর্ন অনুপযোগী তার পরে ও আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করার জন্য স্হানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দিলে স্হানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান স্যারের কাছে পত্র প্রেরন করলে জেলা প্রশাসক মহোদয় ২০১৪ সালে নতুন ভবন নির্মানের লক্ষে সমস্ত কাগজপত্র স্হানীয় সরকার বিভাগের কাছে পাঠান কিন্তু এর পর হইতে এ পর্যন্ত আর ভবন নির্মানের কাজ আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দৌরঝাঁপ করছি, তারা সকলেই আস্বাস দিয়েছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি, গতকাল পুনরায় আবেদন করেছি, আমি ভবনটি নির্মানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।