Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২০ সালে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপি রেকর্ড পরিমাণ পদক্ষেপ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৩০ পিএম

২০২০ সালে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে রেকর্ড পরিমাণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, সংস্থা, কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব বনাঞ্চলে দাবালন, সমুদ্রে পরিবর্তন, বরফ গলে যাওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে । ২০২০ সালে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের সুরক্ষা, অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধ, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞার মতো পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীর জন্য সুরক্ষায় হুমকি অনেক কিছু বাতিলে পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ব। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে সব ধরণের কার্বন নিঃসরণ জনিত প্রকল্পের থেকে নিজেদের সরিয়ে আনবে। -আনাদোলু এজেন্সি
এদিন জার্মানি ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১ জানুয়ারি মোনাকো কটন বাড, কাপ, প্লেট ও কাটলারির মতো একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বাতিল করে। জানুয়ারির ১৯ তারিখ চীনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ বছরের মধ্যে বড় শহরগুলোতে প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় ও ২০২২ সালের মধ্যে চীনের সব শহরে এটি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়। ২০ জানুয়ারি ইংল্যান্ড বন্যপ্রাণীকে নিয়ে সার্কাস দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২৯ জানুয়ারি বিশ্বের প্রথম কোনো সংবাদ মাধ্যম হিসেবে দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান তেল ও গ্যাস কোম্পানির নিষেধাজ্ঞা বিজ্ঞাপন দেয়। ফেব্রুয়ারি ৭ তারিখ তিউনেশিয়া সুপারমার্কেট ও ফার্মাগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। ২৪ ফেব্রুযারি চীন সরকারীভাবে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য ও মজুদ বন্ধ করে। মার্চের ৪ তারিখে ইউরোপিয় ইউনিয়ন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘ইউরোপিয় জলবায়ু আইন’ পাশ করে, যা ২০৫০ সলের মধ্যে ইউরোপের অর্থনীতিকে জলবায়ু বান্ধব করতে কাজ করবে। ২৪ মার্চ জার্মান ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন ইকোসিয়া ব্রাজিল, বুরকিনা ফাসো ও তানজানিয়ায় ১০ লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দেয়।

২০ এপ্রিলে অস্ট্রিয়া দ্বিতীয় ইউরোপিয় দেশ হিসেবে তাদের সর্বশেষ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাতিল করে। ১৯ মে তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের সম্পূর্ণরুপে জীবাশ্ম জ্বালানী মুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দেয়। ৫ জুন চীন স্থানীয় বনরুইয়ের জাতীয় সুরক্ষাপ্রাপ্ত ঘোষণা কলে। এদিন ইথিওপিয়া সরকার বর্ষা মৌসুমে ৫০০ কোটি গাছের বীজ বপনের ঘোষণা দেয়। আগামী চার বছরে ২০ হাজার কোটি গাছ রোপণের লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা করে দেশটি। ২৪ জুন জার্মানি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় যা ২০২১ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে। ১৩ জুলাই পাকিস্তান নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পরিবেশ ও জলবায়ুর রক্ষায় জাতিসংঘের স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে। ২৪ জুলাই ভিয়েতনাম বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণী থেকে তৈরিকৃত পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

১২ আগস্ট ব্রাজিলের ৩৬টি কোম্পানি ও ৪টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান দেশটির সরকারকে লেখা চিঠিতে আমাজনে অবৈধভাবে বন উজাড় বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়। ৯ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়ে সাফারি পার্কসহ দেশটির সব জাতীয় পার্কের পাশে খনিজ পদার্থ আহরণ প্রকল্প নিষিদ্ধ করে। ৮ অক্টোবর কানাডা ২০২১ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১৮ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ২০৩০ সালের পর দেশটিতে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত নতুন গাড়ি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২৫ নভেম্বর চীন আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সব ধরণের বর্জ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ২৫ শতাংশ হ্রাস করে মহামারী থেকে উত্তরণের সবুজ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্ব প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষরিত বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের কাছাকাছি পৌঁছবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জলবায়ু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ