মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মন্ত্রী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি।
নেপালের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এখন সরকার ভেঙে দেওয়া হোক।’
দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান পরিষদীয় আইনের অধ্যাদেশের বিষয়টি নিয়ে চাপ বাড়ছিল কেপি শর্মা ওলির ওপর। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীকে দিয়ে তা সই করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল।
এ বিষয়ে নেপালের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বারসামান পান জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর কাছে সেটি পাঠনো হয়েছে।’
তবে, রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দেয়ায় মত দেবেন কিনা এ নিয়ে নেপালসহ ভারতীয় গণমাধ্যমে চলছে গুঞ্জন। দেশটির সাধারণ মানুষও এখনো স্পষ্ট নন কি ঘটছে সরকারের ভেতর। নেপালের পরবর্তী নির্বাচন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
হঠাৎ নির্বাচিত সরকার ভেঙে দিতে কেন তোড়জোড় শুরু করলেন, প্রধানমন্ত্রী ওলি তার স্পষ্ট ব্যাখা না দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি জারি করা এক আইন নিয়ে চাপে ছিলেন তিনি।
নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক কাঠমাণ্ডু পোস্ট বলছে, ‘বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। ব্যাপক চাপে থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’
এভাবে সরকার ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহার করা উচিত মনে করছেন নেপালের জ্যেষ্ঠ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাধব কুমার।
করোনাভাইরাসে হিমশিম নেপাল। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির চাকায়। গুমোটভাব কাটছিল না কাঠমাণ্ডুতে। সরকার বিরোধীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামলাতে চরমভাবে ব্যর্থ ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী ওলি। শেষমেশ সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব তুললেন তিনি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।