Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শিখ যাজকের আত্মহত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:১৯ এএম

ভারতে বিতর্কিত তিনটি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ভারতের এক শিখ ধর্ম যাজক আত্মাহুতি দিয়েছেন। হরিয়ানা রাজ্যের গুরুদুয়ারার যাজক বাবা রাম সিং (৬৫) বুধবার নিজের ওপর গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। দিল্লি-সোনিপাত সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিয়ে আত্মহত্যার আগে তিনি একটি নোট রেখে যান। তাতে তিনি লিখেছেন, সরকারের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও ব্যাথা প্রকাশ করতেই আত্মহত্যা করছেন তিনি। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভারত সরকার সম্প্রতি কৃষি আইন বদল করে করপোরেট চাষ ও কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি ফসল কেনার অনমুতি দিয়েছে। করপোরেশনগুলি কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে কী চাষ করতে হবে সেটাও বলে দিতে পারবে। কৃষকদের ধারণা, এর ফলে তাদের স্বার্থহানি ঘটবে। তারা শেষ পর্যন্ত করপোরেশনের দাসে পরিণত হবেন। সুবিধা হবে বড় সংস্থাগুলির। কয়েক বছরের মধ্যে কৃষিতে তাদের একচেটিয়া বাজার প্রতিষ্ঠা হবে।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে দেশটির লাখ লাখ কৃষক। কৃষক ও সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও তাতে সংকট নিরসন হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে সরকারের আইন সংস্কারের প্রস্তাব কৃষকেরা প্রত্যাখ্যান করেছে। আইন বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছে তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেন বাবা রাম সিং। আত্মহত্যা করার আগে এক নোটে তিনি লেখেন, ’অধিকারের নিশ্চয়তার জন্য লড়াই করা কৃষকদের কষ্ট আমি অনুভব করছি- আমি তাদের কষ্ট বুঝতে পারছি কারণ সরকার তাদের প্রতি ন্যায় আচরণ করছে না। অন্যায় আচরণ করা পাপ, আর অন্যায় সহ্য করাও পাপ। কৃষকদের সমর্থনে কেউ কেউ সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমি নিজেকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সোনিপাতের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শ্যাম লাল পুনিয়া জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে দ্রুত পানিপথের পার্ক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই কর্মকর্তা জানান, ওই যাজকের মরদেহ এখন তার বাসস্থান কার্নালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাবা রাম সিং-এর মৃত্যুতে ইতোমধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, আকালি দলের নেতা সুখবির বাদলসহ অনেকেই।
কৃষক প্রতিনিধিরা বলছেন, নভেম্বরের শেষ দিকে দিল্লি ঘেরাও কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা রিষিপাল জানিয়েছেন, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ