Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শত হাতে বানানো সেতুটির বেহাল দশা

গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

গাইবান্ধার ভেড়ামারা রেলওয়ে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত কাঠের সেতুটির একাংশ বিগত বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ওই স্থানে অস্থায়ী একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পথ চলাচলে দুর্ভোগের কবলে পড়েছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধার ঘাঘট নদীতে ভেড়ামারা ব্রিজ এলাকার যুবকদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ১৭০ ফিট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের এক বছর পর তা নড়বড়ে হলে পরের বছর পুনরায় স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে ওই স্থানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। গাইবান্ধা রেল স্টেশনের প্রায় দুই কি.মি. উত্তরে অবস্থিত ঘাঘট নদীর এই রেলওয়ে ব্রিজটি পারাপার করেই প্রতিদিন গাইবান্ধার উত্তর অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ২৫ হাজার সাধারণ মানুষ জীবন-জীবিকাসহ নানা প্রয়োজনে গাইবান্ধা শহরে আসেন। রেলওয়ে ব্রিজ দিয়ে আসতে বয়স্ক, শিশু ও নারীদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু তার পরেও বিকল্প কোন পথ না থাকায় রেলওয়ে ব্রিজ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো তাদের। বিকল্প পথ হিসেবে যুগ যুগ ধরে ৭ কি.মি. পথ ঘুরে গাইবান্ধা শহরে যাতায়াত করতে হতো এসব মানুষদের।
সম্প্রতি ওই এলাকার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ভেড়ামারা ব্রীজ পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। তাকে বহনকারি মোটর সাইকেলটিও নদীতে পড়ে বিকল হয়ে যায়। এর আগে ওই এলাকার ইউপি সদস্য তারা মিয়াও ব্রীজ পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এখনও বাড়িতে শয্যাশায়ী। এছাড়াও গত কয়েক যুগ থেকে ওই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেক মানুষ আহত এমনকি ট্রেনে কেটে নিহতও হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এসব অঘটন থেকেই রক্ষা করে মানুষের পথ চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য আনতেই স্থানীয় তরুণ সমাজকর্মী এক উদ্যমী যুবক যার কথা না বললেই নয় প্রকৌশলী শামীম প্রামানিক বাদলের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকার যুবক আব্দুল লতিফ, ছাইদার, জাকির, এরশাদ, জিয়ারুসহ অন্যান্যদের সাথে নিয়ে ভেড়ামারা ব্রিজের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরির পরিকল্পনা করেন। এরপর তার এই স্বতঃস্ফুর্ত উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজন বাঁশ, দড়ি এবং লোহার পেরেক কেনার জন্য নগদ অর্থও দিয়ে সহায়তা করেন। এরপর সাঁকো তৈরির কাজে নিজেরাই নেমে পড়েন যুবকরা। এলাকার লোকজনও তাদের সাথে সহায়তায় স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে এগিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী শামিম প্রামানিক বাদল জানান, এ এলাকার মানুষের প্রায় আশির দশক থেকে আশা এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক। কিন্তু জনগণের সেই স্বপ্নের আশা পূরণ করতে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকার এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেতু

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ