Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৪ ডিসেম্বর অনশনের ডাক, দিল্লি-জয়পুর দখল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০৯ এএম

ভারতজুড়ে কৃষক বিক্ষোভ ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এবার ১৪ই ডিসেম্বর দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে বসে অনশন আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। ১৭ দিন ধরে চলছে কৃষক বিক্ষোভ। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পরেও মেলেনি সমাধানসূত্র।
এই প্রেক্ষিতে এবার অনশন আন্দোলনের ডাক দিলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। যতদিন না কেন্দ্র বিতর্কিত কৃষি বিল পরিবর্তন না করছে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে। আজ ১৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের শাহজাহানপুরে সকাল ১১টা থেকে ট্রাক্টর মার্চ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্তত ১২ লক্ষ কৃষক টানা ১৭ দিন হলো অবরোধ ও ঘেরাওয়ে সামিল। কৃষক আন্দোলনে অংশ নিতে আরও লক্ষাধিক কৃষক ঘেরাও অভিযানে অংশ নিতে আসছেন বলে আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি।
সরকার আইন বাতিল না করলে দেশজুড়ে রেল রোকো ও টোল প্লাজা অবরোধ জারি থাকবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে ইতিমধ্যেই ভারত বনধের প্রভাব সরকারের চিন্তার কারণ।
কৃষক বিক্ষোভের অন্যতম নেতা সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, কোনওভাবেই কৃষি আইন মেনে নেওয়া হবে না। সরকারকে আইন বাতিল করতেই হবে। অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলিরও একই দাবি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতে, ‘এই আইনের ফলে কৃষকরা বাজারের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারবেন। প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন। কৃষিক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগের দরজা খুলে যাবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে’।
যদিও কৃষি আইনটিকে বেসরকারি সংস্থার জন্য বানানো হয়েছে এমন দাবিতে অনড় সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে চলা অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলি। বাম কৃষক সংগঠনটির পাশে এসেছে বিভিন্ন সংগঠন ও কেন্দ্রীয় ট্রেডইউনিয়ন। বাম, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলির দাবি, নতুন কৃষি আইন দেশের কৃষি ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থার হামলা ডেকে আনছে। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে কৃষক সংগঠনগুলি রাজধানী নয়া দিল্লি ঘিরে রেখেছেন।
কৃষকদের ভাষ্য, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত ধরে আসা কৃষি সংস্কার আইনগুলো তাদের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার বলছে, মান্ধাতার আমলের বিপণন পদ্ধতি সংস্কারের লক্ষ্যেই নতুন এ আইনগুলো করা হয়েছে। আইন সংস্কারের ফলে কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে আগের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ভারতের ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশটির প্রায় ১৩০ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন এ কৃষি সংস্কার আইনগুলো ভারতের নিয়ন্ত্রিত বাজারব্যবস্থাকে ভেঙে দেবে এবং সরকারও ধীরে ধীরে নির্ধারিত মূল্যে গম ও ধান কেনা বন্ধ করে দেবে। এতে তাদের ফসল বেচতে বেসরকারি ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষিতে নামতে হবে। ক্ষতির মুখে পড়বেন বহু কৃষক। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ