নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। এর আগে যতবারই ক্রিকেটের সফরস‚চির পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), ভারতের সঙ্গে সিরিজের জন্য একটু জায়গা খালি রেখেছিল। বেশির ভাগ সময়ই হতাশ হতে হয়েছে পিসিবিকে। হতাশ হতে হবে, সেটি হয়তো পিসিবিও জানত। তবু আশায় বুক বাঁধা! কোনো চমক দেখিয়ে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ হয়ে গেলে তো দুই বোর্ডেরই দারুণ লাভ! কিন্তু এবার আর পিসিবি সে পথে হাঁটল না। ভারতকে হিসাবেই রাখেনি পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাদের ভবিষ্যৎ সফরস‚চি বা ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) ঠিক করেছে পিসিবি, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই সূচিতে ভারতের সঙ্গে সিরিজের জন্য কোনো জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়নি বলেই পিসিবির সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম পাক অবজারভার।
তারা লিখেছে, ভারতের সরকার তো বটেই, ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) দিক থেকে গত কয়েক বছরে অসহযোগিতা ও ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা দেখে পিসিবি এবার সিদ্ধান্ত বদলেছে। ভারতকে রাখেনি এফটিপিতে, ভারতের সঙ্গে সিরিজ হবে- এমন আশায় কোনো জায়গাও খালি রাখেনি এফটিপিতে। সে জায়গায় বরং অন্য কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানাবে পিসিবি। তাতে ভারতের সঙ্গে সিরিজ হলে যেমন লাভ হতো, তেমন লাভ হবে না ঠিকই। কিন্তু প্রতিবার এফটিপিতে ভারতের জন্য খালি রাখা জায়গায় সিরিজ না হওয়ায় যে ক্ষতি গুনতে হয়েছে পিসিবিকে, সেটিও গুনতে হবে না।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো আছেই, এশিয়া কাপ বা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দুদলের দেখা হয় প্রায় সব সময়ই। কিন্তু চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ? সেটি ২০০৭ সালের পর আর দেখা যায়নি। ২০১৩ সালে পাকিস্তান ভারতে গিয়েছিল বটে, তবে সেটি ছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে সংক্ষিপ্ত এক সিরিজ। ভারত ২০০৭ এশিয়া কাপের পর আর পাকিস্তানে খেলতে যায়নি। আর পাকিস্তানে ভারত সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে গেছে ২০০৬ সালের শুরুর দিকে।
পাক-ভারত ক্রিকেট উন্মাদনা তো শুধু ভারত আর পাকিস্তানের মানুষেরই প্রার্থিত নয়, বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরাই ব্যাট-বলের রোমাঞ্চ ছড়ানো এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার আশায় থাকেন। কিন্তু পাকিস্তানের এফটিপিতে ভারতকে না রাখা মানে দুদলের মধ্যে টেস্ট হতে দেখার সম্ভাবনা প্রায় শ‚ন্যের কোঠায় নেমে গেল আরকি! টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টগুলোই এখন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখায় একমাত্র ভরসা।
আগামী তিন বছরে ভারতের মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে। সেই দুই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ভিসা পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেটি আপাতত কেটেছে। আইসিসির কাছে চিঠি লিখে ভারত নিশ্চয়তা দিয়েছে, টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানের খেলোয়াড় ও সংবাদমাধ্যমকে ভিসা দেওয়া হবে।
পাক অবজারভার লিখেছে, পিসিবি বারবারই ভারতের কাছে অনুরোধ করেছে রাজনীতি এক পাশে রেখে দুদলের সিরিজ এগিয়ে নিতে, কিন্তু বিসিসিআই রাজি হয়নি। নরেন্দ্র মোদির সরকারের অধীনে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের যাওয়ার সম্ভাবনাও কম বলেই ভাবছে পিসিবি। পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান এহসান মানি কদিন আগে বলেছিলেন, এটা সত্যি ভারতের সঙ্গে সিরিজ না হওয়া মানে অনেক বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি, কিন্তু পিসিবি এই মুহ‚র্তে সেটা নিয়ে ভাবছে না। আরেকটি বদলও নতুন এফটিপিতে আনতে চাইছে পাকিস্তান। বর্তমান এফটিপিতে পাকিস্তান অনেকগুলো দুই টেস্টের সিরিজ খেলছে। তবে এহসান মানি চাইছেন, দুটির বদলে তিনটি করে টেস্ট হোক প্রতিটি সিরিজে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।