মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের অভিযোগ ছিল, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিদেশে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তার রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন হান্টার। বাইডেন-পুত্র ২০১৪ সালে ইউক্রেনের এনার্জি কোম্পানির বোর্ড সদস্য হন। তখনই বাইডেনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। কারণ, বাইডেন তখন ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন নীতি তৈরির মধ্যে ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরে সেনেটে রিপাবলিকান সদস্যের নেতৃত্বাধীন দুইটি কমিটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছিল, হান্টার বাইডেনের বোর্ড সদস্য হওয়াটা সমস্যাজনক এবং এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে নীতির রূপায়ণে অসুবিধা হয়েছে। তবে হান্টার বাইডেনের কোন কাজের ফলে নীতি রূপায়ণে বাধা এসেছে, তা কমিটি জানায়নি।
এদিকে অ্যামেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে শুরু আয়কর তদন্ত। প্রচারে বারবার এই কর ফাঁকির অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেনকেঅস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু হয়েছে। বাইডেন-পুত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ''আমি গতকাল জানলাম যে, মার্কিন অ্যাটর্নির অফিস আমার আয়কর নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আমি এই ঘটনাটাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই ব্যাপারে পেশাদার ও বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা হবে।'' তার দাবি, ''আয়করের বিষয়টি আমি আইনি পথে থেকে করেছি এবং ঠিকভাবে করেছি। পেশাদার কর পরামর্শদাতাদের কথা মেনেই করেছি।''
আর টিম বাইডেনের তরফে আরেকটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ''প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট তার ছেলেকে নিয়ে খুবই গর্বিত। গত কয়েক মাসে হান্টারের বিরুদ্ধে বিষাক্ত রাজনৈতিক আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেই চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। এই আক্রমণ তাঁকে আরো বলিষ্ঠ করেছে।'' অর্থাৎ, নাম না করেই ট্রাম্পের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প নিয়মিতভাবে বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ করেছেন।
তবে এই তদন্তের নির্দেশ বাইডেনের কাছে অস্বস্তির কারণ। কারণ, তিনি এখন তার মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করছেন। কিছুদিনের মধ্যে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেলের নামও ঘোষণা করবেন। তখন তিনিই তদন্ত সামলাবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। তার আগে তদন্ত শেষ হলে ভালো। না হলে তাঁর সামনে তদন্ত-কাঁটা থাকবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।