মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মোদি সরকারের গৃহীত নতুন তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বুধবার ফের প্রতিবাদ জানা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি এনআরসি ইস্যুতেও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বনগাঁর গোপালনগরে প্রশাসনিক সভা থেকে মমতার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘এ রাজ্যে বসবাসকারী সবাই নাগরিক। মতুয়ারা এ দেশের নাগরিক। এখানে এনআরসি করতে দেব না।’
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মমতার বক্তব্য, ‘এমন আইন কেন্দ্র তৈরি করেছে যে কৃষকদের সব ফসল নিয়ে চলে যাবে। আর কৃষক অভাবে কাঁদবে। আলুসিদ্ধ-ভাতও খেতে পাবেন না। সেই কারণেই সারা দেশে এই তিন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। কেন্দ্রকে বলছি, এই আইন প্রত্যাহার করুন।’ তিনি বলেন, ‘তিনটে কৃষি বিল তৈরি করেছে কেন্দ্র। বিজেপিকে বলুন ওই আইন প্রত্যাহার করুন। না হলে কৃষকরা যা ফসল ফলায় সব নিয়ে যাবে কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদাররা নিয়ে চলে যাবে। কৃষকের নিরাপত্তা থাকবে না, তাই সারা দেশে আলোচনা চলছে। আমরা চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনতাম, যখন আলুর দাম বাড়ত আমরা সাধারণ মানুষকে কম দামে দিতাম। আজ কী হয়েছে জানেন? আপনার আলু আপনি রাখতে পারবেন না, আপনার চাল আপনি রাখতে পারবেন না। এগুলো কোনওটাই আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়। আর বিভিন্ন কোম্পানির লোক আসবে, তারা কিনে নিয়ে যাবে আর বেশি দামে বিক্রি করবে। আর আপনারা কেঁদে বেড়াবেন, আলুসিদ্ধ-ভাতও খেতে পাবেন না। এর নাম বিজেপি সরকার।’
এনআরসি’র সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘বিজেপির কাজই এটা, এখানে এসে বলবে বাংলাকে গুজরাত বানিয়ে দেবে। সিপিএমের অত্যাচার দেখেননি? একটা লোকের কোনও উপকার করেছে? এখন সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির সঙ্গ দিচ্ছে। আর বিজেপি বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে, আরএসএস-এর লোক নিয়ে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বাংলায় ৯৪টা উদ্বাস্তু কলোনি ছিল, সেগুলো কলোনিগুলোকে আইনগত স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দু’রকম কলোনি আছে, একটা রাজ্য সরকারের কলোনি, অন্যটা কোনও রাজ্য সরকারের জায়গায় বসে আছে। তাদের সবাইকে উদ্বাস্তু হিসেবে ঘোষণা করে স্বীকৃতি দিয়েছি। বিজেপি যতই বলুক, এনআরসি করতে দেব না, দেব না। এক বার যদি এনআরসি চালু হয়, তা হলে কিন্তু সব নথি চাইবে। আমি বলে যাচ্ছি, সবাই ভারতের নাগরিক, আর কোনও প্রমাণের দরকার নেই।’ সূক্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।