মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। কৃষকদের দাবি মানতে নারাজ সরকার। আজ বুধবার কৃষক নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তাও হচ্ছে না। ফলে আগামীকাল থেকে আরও তীব্র হতে পারে কৃষক আন্দোলন।
জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে সরকার প্রস্তাব জানিয়ে একটি চিঠি পাঠাবে। এরপর সিংঘু সীমানায় দুপুর ১২টায় বৈঠক করবেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, সরকার গত পাঁচটি বৈঠকে একই কথা বার বার বলছে। অমিত শাহকে আমরা বলেছি, নতুন কথা বলুন। একই কথা বলে কী লাভ? দেখা যাক, সরকার কী লিখিত প্রস্তাব দেয়। আমরা পরের বৈঠকে যোগ দেব কি না, তা কালই ঠিক হবে। তবে এর সম্ভাবনা কম।
মোদী সরকার এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, এপিএমসি-র বাইরে থাকা মান্ডিতেও সমান কর, ফসল কেনার আগে ব্যবসায়ীদের নথিভুক্তি, চুক্তি চাষে বিবাদে কর্পোরেট সংস্থার বিরুদ্ধে কৃষকদের আদালতে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকার আইনে সংশোধন করতে রাজি। সরকারি ফসল কেনায় এমএসপি-র নিশ্চয়তা দিতেও সরকার তৈরি। কিন্তু কৃষক নেতারা আগের বৈঠকেই সেই প্রস্তাব বাতিল করেন। ওই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই তারা অনড়।
বৈঠকের আগেই অবশ্য কৃষক নেতারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিশ্চিত করার দাবি মানা হবে কি না, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর থেকে শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ শুনতে চান তারা।
কৃষকদের সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হঠাৎ বৈঠক নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। সরকার তাদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে কিনা এ নিয়ে কৃষক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করে। তবে বৈঠকে গেলেও অনেক নেতাই শাহের বাসভবনে বৈঠকে যেতে রাজি হননি। ঠিক হয়, পুসার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চের অতিথিশালায় বৈঠক হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন থেকে কৃষক নেতাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রায় তিন মাস ধরে বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন ভারতের কৃষকরা। প্রথমে পাঞ্জাবের মধ্যেই তাদের এই আন্দোলন সীমাবদ্ধ ছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে তা এসে পৌঁছ যায় রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লি-পাঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাতেও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।