মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার প্রায় এক বছর হয়ে গেল। এর মধ্যেই ২১৮টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করেছে এই ভাইরাস। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনার কারণে দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের পরাশক্তির এই দেশ। করোনার ধাক্কায় মার্কিন ডলারের মূল্যও আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা বলছেন, খুব শিগগিরই এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন না তারা। অন্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য প্রায় ১২ শতাংশ নেমে এসেছে। ২০১৮ সালের পর ডলারের মূল্য সবচেয়ে কমেছে। ২০২১ সালের মধ্যে মার্কিন ডলার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে গত মার্চ থেকেই ডলারের পতন হতে শুরু করেছে। বেশ কিছু কারণে ডলারের দাম কমেছে। বিশ্লেষকরা এর পেছনে গুরুত্বপ‚র্ণ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন। যেমন- করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠবে বিশ্ব: যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব অর্থনীতি যখন শক্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ঠিক সে সময়ই ডলারের মান দ‚র্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও বিনিয়োগকারীরা ভ্যাকসিনের দিকে চেয়ে আছেন। তারা আশাবাদী যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিন খুব শিগগিরই চলে আসবে। ফলে, ২০২১ সালের মাঝামাঝিতেই করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছে যে, তারা সুদের হার বাড়াবে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভের আশায় অন্য কোথাও বিনিয়োগ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মার্কিন অর্থনীতিকে গতিশীল করতে যতক্ষণ প্রয়োজন ডলারের মুদ্রণ চালিয়ে যাবেন। ইউবিএস গেøাবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হায়ফেলের মতে, ডলারের মানের ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে শুল্ক খুব গুরুত্বপ‚র্ণ অবদান রেখেছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সা¤প্রতিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ভ‚-রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ফলে নিশ্চিত না জেনে কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনেকটাই ভরসা করা যায় বলে মনে করেন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা। এটা বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক তবে ডলারের জন্য নেতবাচক বলে মনে করেন হায়ফেল। ডলারের মান কমে যাওয়া মানেই খারাপ তা বলা যায় না। প্রকৃতপক্ষে যে কোনো সময়ই এই অবস্থা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এমনটাই মনে করেন টিডি সিকিউরিটিজের মুদ্রা বিষয়ক কৌশলের ইউরোপীয় প্রধান নেড রাম্পেলটিন। তিনি বলেন, যখন ডলারের মান কমে যায় তখন মার্কিন রফতানির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, এটি আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয়, উদীয়মান বাজার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং অপরিশোধিত তেলের মতো পণ্যগুলো বিদেশী ক্রেতাদের জন্য তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়ে ওঠে। এর ফলে পণ্যদ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।