নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে কাল মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা ও য়্যুভেন্তাস। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ দুই ক্লাবের লড়াই ছাপিয়ে ম্যাচের মূল আকর্ষণ সময়ের সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একসময় নিয়মিত দুই মহাতারকার লড়াই হলেও, এখন আর সেটি নিয়মিত হয় না। সামনে আবার হবে কিনা, তারও কি নিশ্চয়তা!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই ক্লাব একই গ্রুপে থাকায় সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন সম্ভবত বিশ্বের কোটি ফুটবলপ্রেমী। মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষাটা অবশ্য বেড়েছে তাদের। অক্টোবরে গ্রুপপর্বের ১ম লড়াইয়ে ছিলেন না রোনালদো। করোনা পজিটিভ থাকায় সেবার খেলতে পারেননি পর্তুগিজ মহাতারকা। বার্সার বিপক্ষে ম্যাচে খেলার জন্য তার আকুতিটা সেবার টের পেয়েছিলেন সবাই।
এবার শঙ্কায় মেসির খেলা নিয়ে। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এরইমধ্যে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলায়, আগের দুটি ম্যাচে ক্ষুদে জাদুকরকে বিশ্রামে রেখেছিলেন বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান। এই ম্যাচে কি দলের সেরা তারকাকে নামাবেন এই ডাচ কোচ?
নামানোরই কথা। দুই বিশ্বসেরার লড়াই দেখতে সবার আগ্রহের কথা নিশ্চয়ই মাথায় আছে তারও।
পেশাদার ফুটবলে অবশ্য এমন আবেগ চলে না। বাস্তবেও অবশ্য কোম্যানের হাতে অপশন নেই মেসিকে ছাড়া। কারণ ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই কোম্যান। দুই তরুণ ফরোয়ার্ড দেম্বেলে এবং আনসু ফাতি ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে। গ্রিজম্যান-ব্র্যাথওয়েট এবং ত্রিনকাওকে নিয়ে একাদশ সাজাতে পারেন কোম্যান। কিন্তু মেসিকে কি এই ম্যাচেও বাইরে রাখতে চাইবেন তিনি?
মৌসুমে বার্সার অবস্থা তথৈবচ। ক্লাবেরও, মেসিরও। ভেতরে-বাইরে নানা গুঞ্জন। মাঠে দুর্দশা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে মহাযুদ্ধ কি সব ছাপিয়ে তাতিয়ে তুলবে তাকে?
৬ বারের ব্যালন ডি অর জয়ী বনাম ৫ বারের ব্যালন ডি অর জয়ীর লড়াই। ২০১৮ সালে রন রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকেই দু'জন আলাদা লিগে। দু'জনের একই লিগে খেলার সম্ভাবনাও আর নেই। দু'জনকে তাই তাকিয়ে থাকতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ের দিকে।
দু'জন এর আগে মুখোমুখি লড়েছেন ৩৫ বার। তবে দ্বৈরথ থেমে গেছে ২০১৮ সালের মে মাসে। শেষবার ম্যাচটা ড্র হয়েছিল ২-২ স্কোরলাইনে। তার আগে ১৬ বার জিতেছেন মেসি। ১০ বার রোনালদো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫ বার মুখোমুখি হয়েছেন দু'জন। ২বার জয় মেসির, রোনালদোর নামের পাশে জয় আছে ১টি ম্যাচে।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুখোমুখি লড়াইয়ে গোল করায় এগিয়ে মেসি। ৫ ম্যাচে ৩ বার রোনালদোর দলের জালে বল পাঠিয়েছেন তিনি। রোনালদো পারেন নি একবারও।
ব্যক্তিগত অর্জনের হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লড়াই চলছে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেছেন রোনালদো। ৪ বার লিওনেল মেসি।
৬ বার ইউসিএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিপরীতে ৭ বার টপ স্কোরার পর্তুগিজ মহাতারকা।
সবমিলিয়ে ইউরোপ সেরার মঞ্চে রোনালদোর গোল ১৭৩ ম্যাচে ১৩২টি। ১৪৬ ম্যাচে ১১৮ গোল মেসির।
এল ক্ল্যাসিকোয় দেখা হয়েছে বেশি বার। তবে দু'জনের দেখা হয়েছে জাতীয় দলের জার্সি গায়েও। ৩বার দেখা হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম বার্সেলোনা ম্যাচে।
তবে দিন যে ফুরিয়ে আসছে! ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো আর ৩৩ বছর বয়সী মেসির দেখা হয়না ২ বছর। এবার না হলে আবার কতোদিন অপেক্ষা করতে হবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এমনকি আর কখনো নাও হতে পারে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।