Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তুরস্কের সাথে চুক্তির বৈধতা নিশ্চিত করেছে লিবিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

শনিবার লিবিয়ার এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, তুরস্কের সাথে তাদের সুরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা চুক্তিটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বৈধ এবং এটি তাদের সাথে এক বছর ধরে যুদ্ধরত জেনারেল খলিফা হাফতারের পাওয়া বৈদেশিক সহায়তার সাথে তুলনীয় নয়। আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-কাবলাভি লিবিয়াতে কমপক্ষে ২০ হাজার বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের মধ্যে একটি গুরুতর সঙ্কট সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘের দূত স্টিফানি উইলিয়ামসের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তায় তুরস্কের উপস্থিতি সম্পর্কে যে কোনও ইঙ্গিত প্রত্যাখ্যান করেছেন। উইলিয়ামস লিবিয়ার রাজনৈতিক সংলাপ ফোরামের অনলাইন বৈঠকে এই পরিস্থিতিকে লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের এক প্রকট লঙ্ঘন হিসাবে বর্ণনা করে বক্তব্য দেয়ার পর আল-কাবলাভি বলেছেন যে, উইলিয়ামসের বক্তব্য অস্পষ্ট এবং তাতে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেনি কারণ তিনি বিশেষভাবে কোনও দলকে চিহ্নিত করেননি যারা এজাতীয় বিদেশী যোদ্ধাদের নিয়ে এসেছে। আল-কাবলাভি বলেন, ‘লিবিয়ান-তুর্কি চুক্তিগুলি বিভিন্ন দেশ থেকে হাফতারের সমর্থনে পাঠানো ভাড়াটে যোদ্ধা ও অস্ত্রের সাথে সমতুল্য হতে পারে না।’ গত বছরের ২৭ নভেম্বর তুরস্ক ও লিবিয়া পূর্ব ভূমধ্যসাগরে উভয়পক্ষের পারস্পরিক সীমান্তের একটি অংশ অঙ্কন করে সামুদ্রিক এখতিয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। যুদ্ধবাজ হাফতারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারের সমর্থনে উভয়পক্ষ সামরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করে।
উল্ল্খ্যে, ২০১১ সালে প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত লিবিয়ার শাসনভার বিভক্ত হয়ে পড়ে। রাজধানী ত্রিপোলি ভিত্তিক এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল-সাররাজের নেতৃত্বে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে লিবিয়ার ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট একর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে হাফতারের সামরিক আক্রমণে দীর্ঘমেয়াদী এই রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। আল-সাররাজের সরকার, যাদের তুরস্কও সমর্থন করে, তারা জাতিসঙ্ঘ কর্তৃক লিবিয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসাবে স্বীকৃত। তারা ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটা লড়াইয়ে হাফতারের মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।



 

Show all comments
  • মাহমুদ ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
    খুব ভালো
    Total Reply(0) Reply
  • এস এ তুহিন ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
    মুসলীম বিশ্বের উচিত, নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করা
    Total Reply(0) Reply
  • তুষার ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৪৩ এএম says : 0
    মধ্যপ্রাচ্যে যে কবে শান্তি ফিরে আসবে তা আল্লাহই ভালো জানেন
    Total Reply(0) Reply
  • নাবিল আব্দুল্লাহ ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৪৬ এএম says : 0
    মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলীম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী
    Total Reply(0) Reply
  • বাবুল ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৪৭ এএম says : 0
    আগামী বিশ্বের নেতৃত্ব দিবে তুরস্ক
    Total Reply(0) Reply
  • SYED MD MOSTAFA SHIBLi ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:০৬ পিএম says : 0
    মুসলিম বিশ্বের ঐক্যও সংহতিই সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ