Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লিবিয়ায় বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে লিবিয়ার একটি জেলে আটকে আছে মাদারীপুরসহ আশপাশের প্রায় ১২০ জন অভিবাসী। এদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে মানববন্ধন করেছে আটক হওয়া অভিবাসীদের স্বজনরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে লিবিয়ায় বন্দিদের স্বজনরা বলেন, দালালদের অভিনব প্রতারণায় পড়ে গেলো এক বছর আগে লিবিয়ার মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার পথে বাড়ি থেকে বের হয় প্রায় দুই শতাধিক অভিবাসী। লিবিয়ায় যাওয়ার পরে তিন মাস আগে নৌপথে ইতালিতে যাওয়ার পথে কোস্টগার্ডের কাছে ধরা পড়ে। সেখানে থেকে তাদের ‘আল-জাহারা খামছাখামছিল’ জেলে নেয়া হয়। সেখানে অমানবিক নির্যাতন করছে পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্যে স্থানীয় দালালদের বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে বন্দিদের স্বজনরা বিভিন্ন দফতরে ধরনা ধরছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। এসময় মাদারীপুরসহ কয়েকটি জেলার ১২০ বন্দির স্বজনরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া লিবিয়ার জেলে বন্দি বেলায়েত হোসেনের মা রিনা বেগম বলেন, সদর উজেলার পেয়ারপুর গ্রামের সবুজ দালালের মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকায় এক বছর আগে লিবিয়ায় নেয়া হয়। সেখান থেকে তিন মাস আগে নৌপথে ইতালি নেয়ার পথে ছেলে বেলায়েত আটক হয়। তারপর থেকে আর কথা বলতে পারেনি। শুনেছি সেখানে কাউকে খাবার দেয়া হয় না। অনেক কষ্টে আছে আমার ছেলে। এখন দালালও আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখে না। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। একই কথা বলেন প্রায় বন্দিদের স্বজনরা ।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমরা দালাল চক্রের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। লিবিয়ায় যারা বন্দি, তাদের অধিকাংশই অবৈধপথে বিদেশ গিয়েছে। তারপরেও তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা করবো। তাদের স্বজনরা লিখিত দিয়েছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দেখা যাক, কি করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ