পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর কি কি প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে, সে সম্পর্কে তৈরি থাকায় সেই হামলা এবং তারপরের ব্যর্থতা ছিল তার প্রেসিডেন্ট থাকার সময়কালে সবচেয়ে বড় ভুল।
ওবামা এবারই প্রথম লিবিয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। গত মাসে তিনি আটলান্টিক ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, লিবিয়া অভিযান তিনি যেমনটা ভেবেছেন, সে অনুযায়ীই এগিয়েছে। কিন্তু এরপর লিবিয়া এক বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, লিবিয়া দখলের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ‘বিভ্রান্ত’ হয়ে পড়েন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা এবার মার্কিন সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে তার ক্ষমতাসীন থাকার পুরো সময়কালজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানেও তিনি অবশ্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের লিবিয়া আগ্রাসনকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলেই উল্লেখ করেন। তবে দখল-পরবর্তী সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি বলে মনে করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র খবরে বলা হয়, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ২০১১ সালে বেসামরিক ব্যক্তিদের রক্ষার জন্য হামলা চালায়। তবে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পর দেশটি এক বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ নিজেদের সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন করে। আর একে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়।
বিশৃঙ্খলার সুযোগে কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) লিবিয়ায় ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে তা হয়ে ওঠে শরণার্থীদের ইউরোপে যাওয়ার পথ। চলতি মাসে জাতিসংঘ সমর্থিত ঐক্য সরকার রাজধানী ত্রিপলিতে পৌঁছালেও এখনও ক্ষমতা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে। Ñসূত্র: বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।