Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কতদূর

তাগাদা দিয়ে মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি গ্রামাঞ্চলের আমূল পরিবর্তন, বিদ্যুতে সাফল্য, মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতি তবে মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ কর

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রায় এক যুগ ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। পর পর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকারে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দলটি ভোটের জন্য জনগণকে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতির কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে? বর্তমানে মাঠের রাজনীতি ‘নীরব’ থাকলেও এসব নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে। সরকার কি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দিকে নজর দিয়েছে? ওই সব প্রতিশ্রুতির কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে? নাকি ওই সব প্রতিশ্রুতি ছিল শুধুই নির্বাচনী বৈতরণী পারের জন্য?
জানা গেছে, সরকারে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সকল মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

২০০৮ সালের ইশতাহারে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পালন উপলক্ষে সরকারের অগ্রগতি প্রকাশ করা হবে। আগামী ৬ জানুয়ারি মাসে সরকারের মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রকল্প বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনের সময় যেগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন এবং অগ্রগতির বিষয় আমাদের সকল মন্ত্রণালয় থেকে জানতে চয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল মন্ত্রণালয়ে তা আমরা দিক নির্দেশনা দিয়েছি। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারে নির্বাচনী ইশতেহারের ২১ কাজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সে দ্রুত বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করছে।

জানা যায়, গত পহেলা ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক পরিচালক-২ মো. জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। গত দুই বছরে মন্ত্রণালয়গুলো কি পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের ইশতাহারে দিন বদলের কথা বলেছিল। আর ২০১৪ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ। তবে ২০০৮ সালের ইশতাহারে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ২০১৪ সালের ইশতাহারে এই বিচার চলমান রাখার কথা বলা হয়। আওয়ামী লীগ তার ইশতাহারে দেয়া এই প্রতিশ্রুতি পালন করেছে।

২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতাহারে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ‘রূপকল্প-২০২১’ শিরোনামে ইশতাহার প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। সেই ইশতেহারেও প্রতিবছর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশের কথা বলা হয়েছিল। ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই ইশতাহারে সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে ২৬ দফার অগ্রাধিকার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসম্পন্ন ও শাস্তি কার্যকর এবং বিচার বানচাল করতে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের অঙ্গীকার করা হয়। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল, সব ধর্মের শন্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও প্রচার নিষিদ্ধ করার অঙ্গীকার করা হয়। কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন করা হবে না বলে ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়। ইশতাহারে পাঁচ বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত এবং দারিদ্র্যের অনুপাত ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়। দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণের কারিগরি ও অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করে পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ করা এবং দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করার ঘোষণাও দেয়া হয়। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ ইশতেহার প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই ইশতেহারে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয়ের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

২০১৮ সালের নির্বাচনের ইশতেহারে যে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, আমার গ্রাম, আমার শহর- প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি: তরুণ যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিকে রূপান্তরিত করা এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ, পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল মেগা প্রজেক্টগুলোর দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা, দারিদ্র্য নির্মূল করা, সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা, সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা- লক্ষ্য যান্ত্রিকিকরণ, দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন, জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, ব্ল-ইকোনোমি-সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন, নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিজম কল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি। বর্তমান সরকারে দুই বছর পার হয়েছে। তার মধ্যে এক বছর করোনা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা প্রণয়ন করেছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। গত বুধবার জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অনুষ্ঠিত হয়।

তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে এবং স্বাবলম্বী তরুণ সমাজ গঠন করতে ২০২১ সালের মধ্যে ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’, একটি দক্ষ ও কর্মঠ যুবসমাজ তৈরি করতে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘কর্মঠ প্রকল্প’ এবং স্বল্প ও অদক্ষ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বেকারত্বের হার ২০২৩ সালে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং কর্মসংস্থানে কৃষি, শিল্প ও সেবার অংশ যথাক্রমে ৩০, ২৫ ও ৪৫ শতাংশে পরিবর্তন করা হবে। ২০২৩ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুনভাবে ১ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত হবে। প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র করা হবে ও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর জন্য সরকারি অনুদান বাড়ানো হবে। সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার যুক্ত করেছিলেন। বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। দেশের উন্নয়নের মূল শর্ত হলো সুপরিকল্পিত, টেকসই অবকাঠামো এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ সুবিধা। গত দশ বছরে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করেছে সরকার তা নজিরবিহীন। ৫ বছরেও এই অগ্রগতি চলমান রাখার পরিকল্পনা আছে উন্নয়নমুখী সরকার। প্রতিটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা, ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন, এলিভেটেড হাইওয়ে, আন্তঃজেলা এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন বিমানবন্দর, নতুন নৌপথ তৈরি ইত্যাদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই পূরণ হবে উন্নত দেশের লক্ষ্য।

উন্নয়নে মেগা প্রজেক্ট : দেশের উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চারের জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্পের প্রয়োজন অপরিহার্য। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এ প্রকল্পগুলো হচ্ছে- পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা দ্রুত গণপরিবহনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, এলএনজি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট, মহেষখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২৯.৫ কিমি. রেললাইন স্থাপন। বর্তমান সরকার এ সব মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রায় ২৩,০০০ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন হবে। যার মধ্যে ২০২০ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, সুগম ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথের সম্প্রসারণ ও সংস্কার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে ৪৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সড়কপথ, রেলপথ ও বিমানপথ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৬,৩৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯.২৪ কিমি.। ঢাকা পূর্ব-পশ্চিম এলিভেটেড হাইওয়ে নির্মাণ করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেস রেলওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বুলেট ট্রেন সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা এবং কলকাতা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিমানবন্দরকে উন্নত করা হবে। ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, নতুন রাডার স্থাপন ও জেট ফুয়েল সরবরাহ করার জন্য পাইপলাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠা করা হবে সুপিরিয়র বিমান অবতরণে সক্ষম দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দর। বাগেরহাটে খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুতসম্পন্ন করা হবে।

জনমুখী প্রশাসন এবং সুলভ জনসেবা উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। একটি দক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক সেবামুখী প্রশাসন গড়ে তোলা। মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১-র উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যগুলো অর্জনে একটি দক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক সেবামুখী প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। মানোন্নয়নের ওপর অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গুরুত্বারোপ করে আসছে। ২০২৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা পাবে দেশের ৯৫ শতাংশ শিশু, এবার এমনটাই পরিকল্পনা বয়েছে ২০১৮ সালের ইশতেহারে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারের একুশটি অঙ্গীকারের মধ্যে প্রথম অঙ্গীকার ছিল আমার গ্রাম-আমার শহর, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা স¤প্রসারণ করা। এই অঙ্গীকার পূরণের কাজ শুরু হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র ৬ দশমিক ১ এবং ৬ দশমিক ২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ চলছে। দেশে ৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনকালে সুখী সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে রূপকল্প-২০২১ সফলভাবে সম্পন্ন করা জাতির কাছে সরকারের অঙ্গীকার। দেশের দারিদ্র্যের হার ২০২৩ সালে হবে ১২ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে হবে ৪ শতাংশ। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। শুধু তাই নয়, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশ শামিল হওয়ার পথে ধাবমান।



 

Show all comments
  • নওরিন ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    কাগজে কলমে নয়, বাস্তবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চাই
    Total Reply(0) Reply
  • রুহান ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৩৫ এএম says : 0
    জনমুখী প্রশাসন এবং সুলভ জনসেবা উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে একটি দক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক সেবামুখী প্রশাসন গড়ে তোলা।------------- আমরা তো তার উল্টোটা দেখতে পাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুল মান্নান ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৩৫ এএম says : 0
    সরকার আত্মসমালোচনা করলেই বুঝতে পারবে
    Total Reply(0) Reply
  • সবুজ ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৩৬ এএম says : 0
    প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কতদূর বাস্তবায়ন হয়েছে, সেটা আমরা জানি না। তবে জানি আমরা সব হারিয়েছি
    Total Reply(0) Reply
  • চৌধুরী হারুন আর রশিদ ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৩৭ এএম says : 0
    শুধু ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন, তাহলেই হবে
    Total Reply(0) Reply
  • অমিত ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৩৮ এএম says : 0
    দুর্নীতি আর মানবাধিকার হরণে তারা সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • শাহীন হাসনাত ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৩৮ এএম says : 0
    সত্য কথা বললে আবার মামলা হয়ে যাবে, শুধু তাদেরকে আয়না দেখতে বলবো
    Total Reply(0) Reply
  • Jack Ali ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৩৮ এএম says : 0
    We Muslim's are responsible because after Liberation from Pakistani Barbarian not a single government ruled our country by the Creator The Al-Mighty Allah. As such all the government ruled by the man made Law as such the government become our Lord and they do anything's to us. They don't have any accountability to us but in Islam government have accountability. Any body can approach Khalifah and can challenge the Khalifah them. Can we approach our PM or any MP minister/police officer or any Amla ?????. No we do not have any right. They have taken away all our right more than the Barbarian Pakistan. Still there is time to save ourselves and save our beloved sacred mother land then we must rule our country by the Law of Allah then automatically all our right will come back to us, we don't need to write all sort of articles because it waste money, material, time. we can use media for education purpose so the every body will get benefited from the media i.e. science and technology. Environment science, Agronomy, Qur'an and Hadith and many more subject.
    Total Reply(0) Reply
  • Jack Ali ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৫৩ এএম says : 0
    They have turned our young generation iby theuling parties Gunda and chada baz, rapist, and they take all kind of drug..
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ