Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উত্তরপ্রদেশে প্রথমবার ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইনে বিয়ে ঠেকাল পুলিশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৫৫ পিএম

সপ্তাহখানেক আগেই জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বিয়ে রুখতে নতুন আইন চালু হয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে। সেই আইনে এবার এক হিন্দু তরুণী ও মুসলিম যুবকের বিয়ের আসরে হাজির হল পুলিশ। বর ও কনে, উভয়পক্ষকেই যেতে হল থানায়। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের পারা এলাকার।

জানা গেছে, গত বুধবার ছিল ফার্মাসিস্ট মোহাম্মদ আসিফের (২৪) সাথে কেমিস্ট্রি পোস্ট-গ্রাজুয়েট রায়না গুপ্তার (২২) বিয়ের দিন। জেলার হিন্দু মহাসভার প্রধানের কাছ থেকে খবর পেয়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার খানিক আগেই আচমকা সেখানে উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা। বিয়েবাড়ির সকলকে উত্তরপ্রদেশে সদ্য পাস হওয়া নতুন আইন সম্পর্কে জানিয়ে তাদের থানায় যেতে বলা হয়। পরে থানায় গেলে দু’পক্ষকেই জানানো হয় এই বিয়ের জন্য আগে লখনউয়ের জেলাশাসকের অনুমতি নিতে হবে। লখনউয়ের সিনিয়র পুলিশ অফিসার সুরেশচন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন, গত ২ ডিসেম্বর তারা ওই বিয়ের বিষয়ে জান‌তে পারেন। তার কথায়, ‘আমরা জানতে পেরেছিলাম এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মেয়ের সঙ্গে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলের বিয়ে হচ্ছে। আমরা তাদের থানায় ডেকে পাঠিয়ে নতুন আইনের কপি হাতে তুলে দিই। দু’পক্ষই লিখিতভাবে জানিয়েছে, নতুন আইন মেনে তারা আগে জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে তবে বিয়ের ব্যাপারে অগ্রসর হবেন।’

দুই পরিবারের কোনও সদস্যই এ ব্যাপারে মুখ না খুললেও সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, বিয়েতে উভয় পরিবারেরই অনুমতি ছিল। কোনওরকম জোর করে ধর্মান্তরিত করার ব্যাপারও ছিল না। আপাতত জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করার কথা ভাবছে দু’পক্ষই। এই বিয়েতে কেউ ধর্মান্তরিতও হচ্ছেন না বলে জানাচ্ছে সূত্র। এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি (দক্ষিণ অঞ্চল) সুরেশ চন্দ্র রাওয়াত বলেন, ‘পুলিশ যখন ভেন্যুতে পৌঁছেছিল (লখনউয়ের পাড়া এলাকায়), তারা দেখতে পেল যে প্রস্তুতি চলছে হিন্দু রীতি অনুসারে বিবাহ অনুষ্ঠান করার। পরবর্তীকালে বিয়েটি আবার মুসলিম রীতিতে পড়ানো হতো। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়েটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, তবে ধর্মান্তরকরণ ছাড়া এই বিয়ে ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত হতে পারে না।’

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পেশ করা ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী অর্ডিন্যান্সে শনিবার সম্মতি দেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। এই আইনে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে। নতুন এই আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মদন ল‌োকুর একে পছন্দের স্বাধীনতা কিংবা মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন। এর আগে কয়েকটি প্রদেশের হাইকোর্টও এই ধরণের আইন সংবিধান-বিরোধী বলে মতামত দিয়েছে। সূত্র: টিওআই।



 

Show all comments
  • a aman ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:১৯ পিএম says : 0
    india is gone crazy with some cow loving uneducated people in power
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ