মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে সুষ্ঠু ভাবে দিনযাপনের জন্য খাবার, আশ্রয়ের জোগান নিশ্চিত করতেই হিমশিম খাচ্ছেন আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের এক বিরাট অংশ। এই মানুষদের দিকে এ বার সরাসরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন দেশটির কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কোর্তেজ। বলা চলে, ‘খেলতে-খেলতেই’ ২ লাখ ৪০ হাজার আমেরিকান ডলারের তহবিল সংগ্রহ করলেন তিনি!
শুক্রবার বিকালে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘টুইচ’-এর মাধ্যমে বাকি খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের সঙ্গে জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘অ্যামং আস’-এ অংশগ্রহণ করে এই অর্থ সংগ্রহ করেন কোর্তেজ। সঙ্গে কানাডিয়ান নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-র নেতা ভারতীয় বংশোদ্ভূত জগমীত সিংহ-এর সঙ্গেও চলে কর্মজীবী মানুষদের জন্য আরও উন্নত নীতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা। কোর্তেজের সংগ্রহিত অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে খাদ্য ভান্ডার এবং আইনি সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করা নিউ ইয়র্কের ছ’টি সংগঠনের মধ্যে। সেই তালিকায় রয়েছে ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস এনওয়াইসি’, ‘স্ট্রিট ভেন্ডার প্রজেক্ট’ এবং ‘মেক দ্য রোড’-এর মতো সংগঠন। সেই সব পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেবে এই সংগঠনগুলো যারা সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত। এমনকি সরকারের কাছে নামই নথিভুক্ত নেই তাদের অধিকাংশের।
সাহায্যকারীদের উদ্দেশে কোর্তেজ জানান, ‘এই মহামারি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ চেহারা নিতে চলেছে। করোনা আবহে ভাড়াটেদের বের করে না-দেয়ার যে সরকারি নির্দেশ বাড়ির মালিকদের দেয়া হয়েছিল, তার মেয়াদও এই ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। ফলে এ মাস থেকেই গৃহহীনের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ার আশঙ্কা। নিউ ইয়র্কে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আপনাদের সাহায্য এই ছয় সংগঠনের কাছে এমন এক সময়ে পৌঁছে দেয়া হতে চলেছে যখন তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
পাশাপাশি ভাঙা স্পেসশিপ সারানোর এই খেলায় মজার ছলে খুনসুটিও করতে ছাড়েননি কোর্তেজ। কানাডিয়ান নেতা জগমীতও যোগ দেন তাতে। একই সঙ্গে কানাডা সরকারের ‘সাহসী’ নীতি সাধারণ কর্মজীবীদের কতটা সুবিধা প্রদান করছে তার উপরেও আলোকপাত করেন জগমীত। তিনি জানিয়েছেন, মহামারির শুরু থেকেই যাদের বেতন কমানো হয়েছে এবং যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের ‘কানাডা রিকভারি বেনিফিট’ দিচ্ছে সরকার। যার অন্তর্গত সপ্তাহে ৫০০ ডলার দেয়া হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি ‘কানাডিয়ান এমার্জেন্সি ওয়েজ সাবসাইডি’ বা ‘আনএমপ্লয়মেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স’-এর মতো নীতির মাধ্যমে কর্মীদের ৬৫ শতাংশ বেতন দিয়ে দেয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। নিয়োগকর্তারা যাতে কর্মীদের ছাঁটাই না-করেন তাই এই পদক্ষেপ। যা শুনে তার দেশের সরকারের সমালোচনা করে কোর্তেজ বলেন, আমরা আমেরিকায় এ ধরনের নীতির প্রস্তাব আনলে বলা হয়, ‘এ সম্ভব না’। অথচ পাশেই এমন দেশ (কানাডা) রয়েছে, যেখানে এটাই বাস্তব।
উল্লেখ্য, মহামারি পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর কোর্তেজ এবং বার্নি স্যান্ডার্সের মতো ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের চাপেই কর্মহীন মানুষকে সপ্তাহে ৬০০ ডলারের ভাতা দিতে শুরু করেছিল আমেরিকা সরকার। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত জুলাইয়ে। সূত্র: এনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।