Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার ব্রহ্মপুত্র নদে পাল্টা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৩৬ পিএম

চীনের ঘোষণার দু’ দিনের মাথায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁধ নির্মাণে পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে ভারত। গত মঙ্গলবার অরুনাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্রের এই অংশে ১০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় এক কর্মকর্তা। খবরটি প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

উল্লেখ্য, এই ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীই ভারতের আসাম হয়ে বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নামে প্রবেশে করেছে।

চীনের ঘোষণার পরই ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এ প্রকল্পের ফলে সে দেশের একটা অংশে বন্যার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এরপর মঙ্গলবার ভারতের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১০ গিগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির কথা ভাবছে তারা।

ভারতের কেন্দ্রীয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টিএস মেহরা জানিয়েছেন, চীনের জলাধার নির্মাণের ফলে যে প্রভাব পড়বে তার সঙ্গে লড়াই করার জন্যই অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর জলাধার বানানো প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ে এই নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে (চীনাদের) জানিয়েছি, আপনাদের নেওয়া প্রকল্পে যেন ভারতের ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তবে তাদের আশ্বাস কতদিন টিকবে তা আমরা জানি না।’

চীনের স্বশাসিত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী, অরুণাচলে পৌঁছে যার নাম হয়েছে সিয়াং। আসামে প্রবেশ করার পর এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং যা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এর আগেও ব্রহ্মপুত্রের ওপরে একাধিক ছোট বাঁধ নির্মাণ করেছে বেইজিং। নতুন প্রকল্পে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের পরিমাণ বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রকল্প, মধ্য চিনের থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে প্রায় তিন গুণ হতে পারে।
ভারতীয় বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চীনের বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি ভারত সীমান্তের খুব কাছে। তাই বেইজিং বাঁধ নির্মাণ করলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আরেকটি জায়গা করে দেওয়া হবে।

চীন-ভারত সম্পর্ক বিষয়ক বিশ্লেষক ব্রহ্মা চেলান্নি বলেছেন, ‘হিমালয়ে চীনের আঞ্চলিক আগ্রাসনের শিকার ভারত, নতুন খবর অনুযায়ী পেছনেই রয়েছে সমুদ্রসীমা দখল, এমনকি পানি নিয়ে যুদ্ধও।’ সূত্র : আনন্দবাজার



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ