মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্ক ও আজারবাইজান পরিচালিত ড্রোন যুদ্ধের সাফল্যে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনস-ইসিএফআর। সংস্থাটির প্রবীন সদস্য ও বিশ্লেষক গুস্তাভ গ্রেসেল সতর্ক করে বলেছেন যে, নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে নতুন যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজানের জয় এবং এ যুদ্ধকে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি সামান্য যুদ্ধ হিসাবে উড়িয়ে দেয়ার পরিবর্তে ইউরোপের উচিত আজারবাইজানের ব্যবহৃত তুর্কি ড্রোন সৃষ্ট হুমকির বিষয়ে সচেতন হওয়া।
গ্রেসেল যুক্তি দিয়েছেন যে, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর অধিকাংশ সেনাবাহিনীরই আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনীর মতোই করুণ পরিণতি ঘটবে। ৪৪ দিনের এ সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার হাজার হাজার মিলিশিয়া ও সামরিক যানবাহনের ক্ষতি সাধন করা প্রতিপক্ষ আজারবাইজানের জয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল আজারি সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত তুর্কি ড্রোন। এসব ড্রোন বহরের মাধ্যমে আজারবাইজান কৌশলগত শহর শুশা দখল করতে সক্ষম হয় এবং ৯ নভেম্বর আর্মেনিয়াকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে, যার ফলে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি অনুযায়ী দেশটি এ অঞ্চল বাকুকে ফিরিয়ে দেয়।
গত এক দশকে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের মতো ড্রোন যুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাস সম্বলিত দেশগুলোর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠে তার নিজস্ব ড্রোন প্রযুক্তির নাটকীয় বিকাশ ঘটিয়েছে। এসব বিধিনিষেধ তুরস্ককে নিজস্ব ড্রোন তৈরির শিল্প গড়ে তুলতে উৎসাহিত করে, যার ফলস্বরূপ বায়রাক্তার এবং আঙ্কা-এস ড্রোনের উদ্ভব ঘটে। বিশেষ করে বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন এ বছরের গোড়ার দিকে ৩৪ তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায় এবং ত্রিপোলীতে ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতারকে পরাজিত করতে লিবিয়ার সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভ‚মিকা পালন করেছিল।
ড্রোনগুলো প্রাথমিক পরিদর্শন এবং নজরদারি কার্য পরিচালনা করতে বৈদ্যুতিক সমর কৌশল ব্যবহার করে এবং প্রতিপক্ষের রেডিও এবং কমান্ড সিস্টেমগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে বা সতর্কতা সম্প্রচার করতে সক্ষম। এগুলো রণক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জ্যাম করতেও সক্ষম। তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তি এবং সমর কৌশল এতটাই কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব নিজে এটিকে ‘গেম-চেঞ্জিং’ হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ একে ‘নজিরবিহীন’ বলে অভিহিত করেছেন।
গ্রেসেল তার বিশ্লেষণটির উপসংহারে বলেছেন, ‘কোনও ইউরোপীয় সেনাবাহিনীরই নিজেদের বর্ম রক্ষার জন্য নিজস্ব হাই-রেজোল্যুশন সেন্সর-ফিউশন বা প্লট-ফিউশন সক্ষম সাঁজোয়া বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। কেবল ফ্রান্স এবং জার্মানির শর্ট রেঞ্জ এন্টি-ড্রোন জ্যামার এবং ঘাঁটি-রক্ষার রসদ রয়েছে, যা তুর্কি ড্রোনগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম।’ বিষয়টি তাদের ভাবা উচিত এবং সতর্ক হয়ো উচিত। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।