Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতিগত সংঘাত থামানোর চ্যালেঞ্জ মিয়ানমারের নতুন পার্লামেন্টের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ৫:২৭ পিএম

মিয়ানমারের নতুন পার্লামেন্টের সামনে এখন জাতিগত উত্তেজনা আর সংঘাত থামানোর বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে পার্লামেন্ট ও স্থানীয় লেজিসলেটরের ১ হাজার ১১৭ আসনের মধ্যে ৯২০টিতে জয় পেয়ে নির্বাচিত হয় ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্রেসি। তারা এবার ২০১৫ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। অং সান সুচির এই দলটির পক্ষে সবসময়ই বিশ্ববাসীর সমর্থন ছিলো। -আল জাজিরা

কিন্তু এবার তারা নির্বাচিত হয়েছে মাথায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে। সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক পার্টি অবশ্য নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করালেও প্রমান উপস্থাপন করতে পারেনি। তবে জনগণ তাদের স্পষ্টতই প্রত্যাখান করলেও সুচি বা তার দল যে সেনাবাহিনীকে এড়িয়ে যাবার সাহস রাখেন না, রোহিঙ্গা গণহত্যা ও রাখাইনে আরাকানিদের উপর চলমান নির্যাতনেই তা প্রমাণ হয়ে গেছে। তবে রাখাইন অঞ্চলে সুবিধা করতে পারেনি লিগ অব ডেমোক্রেসি। সেখানে বরাবরের মতোই স্থানয়িদের দলগুলোই জয় পেয়েছে।

নির্বাচিত হয়েছেন বেশ কিছু রোহিঙ্গা এমপিও। তারা বলছেন, এমপি হিসেবে তাদের প্রথম কাজ হবে রাখাইনকে আগ্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করা। রাখাইনসহ বেশ কিছু রাজ্যে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে বার্মিজ সরকার। অবশ্য বিদ্রোহ দমন নয়, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর সব অভিযোগ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখন রাখাইন রাজ্যে। এরপরেই রয়েছে চীন, কারেন ও শান রাজ্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ