Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষক-শ্রমিক বিদ্রোহে উত্তাল ভারত, শান্ত হওয়ার আহ্বান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪০ পিএম

শ্রম ও কৃষি আইনসহ বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে কৃষক-শ্রমিক বিদ্রোহে উত্তাল ভারত। ৭ দফা দাবিতে ভারতজুড়ে ধর্মঘট করছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। দিল্লি চলো ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক দিল্লি রওনা হয়েছেন। রাজধানী দিল্লির জাতীয় সড়ক পথ থেকে সীমান্ত, পড়শি রাজ্য পাঞ্জাব-হরিয়ানার থেকে আসা হাজার হাজার কৃষকদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে পড়েছে রাজধানী। এমতাবস্থায় কৃষকদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানালেন রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

বিক্ষোভের জের এতটাই ব্যারিকেড, লাঠিচার্য, জলকামান কোনও কিছুই রুখতে পারেনি কৃষকদের। রাতভর অশান্তি জারি ছিল রাজধানীর রাজপথে। তবে দিল্লি সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। রয়েছে অতন্দ্র প্রহরাও। হরিয়ানা থেকে আসা কয়েক হাজার কৃষক পানিপথ টোল প্লাজা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে দিল্লি-আম্বালা হাইওয়েতে অবস্থান করছে। অন্যদিকে পাঞ্জাব থেকে আসা কৃষকেরা কর্নাল সীমান্তে রাত কাটিয়েছেন।

শুধু পায়ে হেঁটে নয়, ট্র্যাক্টর, বাস, জিপ, লরি, ট্রাক যে যেমন পারছেন রাজধানীমুখী হয়েছেন সকলেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সংবাদমাধ্যমকে জানান, সরকার কথা বলতে রাজি। কৃষকদের সমস্যা শুনে তা সমাধানও করতে আগ্রহী কেন্দ্র। কৃষিমন্ত্রীর কথায়, “আমি আমার সকল কৃষকভাইদের বলব আপনারা উত্তেজিত হবেন না। আমি নিশ্চিত কথা বলার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।”

এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় রাজনাথ সিং জানান তিনি নিজেও একজন কৃষকের সন্তান। সরকার কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি তাঁদের অনুরোধ করছি বিক্ষোভ থামান। আমি আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, আমি নিজেও কৃষক পরিবারের সন্তান। সেই পরিবারের হয়েই আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে না।”

আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, হিসারে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। বিভিন্ন এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। গুরগাঁওয়ে কৃষক নেতাদের সঙ্গে স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগেন্দ্র যাদবকেও আটক করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব থেকে দিল্লি অভিমুখে রওনা দেওয়া লাখো কৃষকদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাদেরকে যেখানে আটকানো হবে সেখানেই বসে পড়বেন তারা।
করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে দিল্লিতে কোনো ধরনের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। কৃষকদের সমাবেশের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে তারা। ধর্মঘট মোকাবিলায় উড়িষ্যায় জারি হয়েছে এসেনসিয়াল সার্ভিস মেইনটেনেন্স অ্যাক্ট (এসমা)। এ আইনের অধীনে নির্দিষ্ট কিছু খাতের শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার রহিত করা আছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংস্থাও ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার, এনডিটিভি



 

Show all comments
  • ash ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১৩ এএম says : 0
    ITS OKKKKKK !! JUST BUY MORE & MORE RAFALLL !!! INDIA NEEDS MORE FAFALLL THEN FARMERS
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ