মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি পাস হওয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কনকনে ঠান্ডায় জলকামান সহ্য করে ক্রমান্বয়ে দিল্লির কাছে এগুচ্ছে কৃষকরা, রুখতে তৈরি পুলিশও। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরেই হরিয়ানার পুলিশ বিভিন্নভাবে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে বিক্ষোভরত কৃষকদের। সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে আরো শক্তি জোগার করেছে বৃহস্পতিবার রাতে। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই হরিয়ানার সোনপতে রাত ১১টার দিকে কৃষকদের উপর জলকামান চালায় পুলিশ। উদ্দেশ্য একটাই, কৃষকদের দিল্লি ঢুকতে বাধা দেওয়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই সোনপতে পৌঁছে গিয়েছিল ২০০-র বেশি কৃষকের একটি দল। রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়েই তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশও ব্যারিকেড বানিয়ে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি ছিল। রাত ৯টার দিকে সেখানে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। কৃষকরা পুলিশকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে অনুরোধ করে। পিছিয়ে যেতে রাজি হয়নি কৃষকরাও। ইতিমধ্যেই রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কনকনানি ঠান্ডা। তার মধ্যেই প্রতিবাদরত কৃষকদের ওই দলের উপর জলকামান ছোড়ে হরিয়ানা পুলিশ।
যদিও বৃহস্পতিবার সারা দিন সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেও কৃষকদের আটকাতে পুরোপুরি সফল হয়নি হরিয়ানার বিজেপি সরকার। সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং অল ইন্ডিয়া কিসান সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দিল্লি ঢোকার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার কৃষক পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার দিল্লি ঢোকার জন্য পুরোমাত্রায় তৈরি তাঁরাও।
পাশাপাশি বিক্ষোভরত কৃষকদের দিল্লিতে ঢোকা আটকাতে তৈরি রয়েছে প্রশাসনও। বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের দিল্লি ঢোকার আর্জি করোনা অতিমারির দোহাই দিয়ে ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব বলেছেন, “কোভিড-১৯ নির্দেশিকার জন্য রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়। আমরা অনুরোধ খারিজ করেছি। দিল্লি সীমান্তে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জোর করে ঢোকার চেষ্টা বাধা দেওয়া হবে।’’ এরই অঙ্গ হিসাবে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, চিল্লা সীমান্ত, টিগরি সীমান্ত, বাহাদুরগড় সীমান্ত, ফরিদাবাদ সীমান্ত, কালিন্দী সীমান্ত, সিংঘু সীমান্তে ব্যারিকেড গড়ে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশের বাধা উড়িয়ে বিক্ষোভরত কৃষকরা কীভাবে দিল্লি ঢোকেন আর বিক্ষোভে অনড় কৃষকদের রুখতে পুলিশ কী করে তার দিকে আজ নজর রাখছে বিশ্ববাসী। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।