যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। পাশ্চাত্যে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। করোনার অতিমারির সঙ্গেই লোকজন বেঁচে থাকার লড়াই শুরু করেছে। কিন্তু তাতেও রয়েছে চরম বিপত্তি। এই ভাইরাস কখন, কী ভাবে সংক্রমণ হয়ে যাচ্ছে এবং কখন বিধ্বংসী রূপ নিচ্ছে তা এখনো বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে লোকসমাগম এবং হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই আপাতত এটি একজনের কাছ থেকে অপরজনের শরীরে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক ধারণা।
কিন্তু যিনি করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তিনি কি আর এতটা সাবধানতা নেবেন? কিংবা তার কাছ থেকে কি এই রোগ ছড়াতে পারে? বিজ্ঞানীরা কিন্তু এখনো নিশ্চিত ভাবে করোনার নেগেটিভ রোগীর ক্ষেত্রে এমন কিছু বলতে পারেননি। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট মানেই যে তিনি একেবারে নিরাপদ, তা কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।
এই নেগেটিভ রিপোর্ট থেকে বরং মিথ্যা আশা তৈরি হচ্ছে অনেকের। তাই বিজ্ঞানীদের মত, যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যিনি সুস্থ হয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই একই রকম ভাবে করোনাবিধি ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে সেটাই হবে হিতে বিপরীত।
করোনা থেকে তথাকথিত সুস্থ হয়ে ওঠার পরে নানাবিধ শারীরিক সমস্যার তালিকাও কম নয়। ক্লান্তিভাব, অল্প পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট, মানসিক বিষন্নতা, ফুসফুসে ফাইব্রোসিস, মাথা ঘোরানোর মতো উপসর্গের কারনে সুস্থ হয়েও নিজেদের সুস্থ বলতে পারছেন না করোনা আক্রান্তদের একাংশ। এমনকী সুস্থ হয়ে ওঠার পর মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।
তবে সাবধানতা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো পথ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মালয়েশিয়ার জর্জটাউন সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির ভাইরোলজিস্ট ডক্টর অ্যাঞ্জেলা রাসমুসেনের মতে, ‘পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভরসা করবেন না। পরীক্ষার রিপোর্ট সেই মুহূর্তে আপনি আক্রান্ত কিনা তা জানাতে পারে কিংবা ধরতে ব্যর্থও হতে পারে।’
বিজ্ঞানীদের মতে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন পর বোঝা যায় যে, কেউ কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন কিনা। ফলে, উপসর্গ দেখা দিলেও পরীক্ষার রিপোর্ট অনেক সময় নেগেটিভ আসে।
আবার ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন যিনি, তার থেকে অন্য কারো সংক্রমণ হলেও, কোনো উপসর্গ সামনে আসে না। ফলে প্রত্যেককেই অন্তত ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতেই হবে। সাবধানতা নিতেই হবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডয়া, হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।