নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোট কাটিয়ে ফিরলেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) দুই সেরা তারকা। কিলিয়ান এমবাপে খেললেন শুরু থেকে। নেইমারের দেখা মিলল দ্বিতীয়ার্ধে। তবে তাদের ফেরার ম্যাচেই থামল ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের জয়রথ। টানা আট জয়ের পর লিগ ওয়ানে হারের স্বাদ পেল তারা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে টমাস টুখেলের দলের বিপক্ষে জয় তুলে নিল মোনাকো।
গতপরশু রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছে পিএসজি। ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপের জোড়া গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ এক গল্প উপহার দেয় স্বাগতিক মোনাকো। জোড়া গোল আসে কেভিন ভোলান্ডের পা থেকে। পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন বদলি সেস ফ্যাব্রেগাস।
স্তাদে লুইতে দুই অর্ধে আধিপত্য দেখায় দুই দল। প্রথমার্ধে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করে সফরকারী পিএসজি। বিরতির পর পাল্টা জবাব দেয় মোনাকো। বল দখল, সুযোগ তৈরি, গোলমুখে শট নেওয়া- সবখানেই এগিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করে নিকো কোভাচের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে মোট চারবার মোনাকোর জালে বল পাঠায় পিএসজি। কিন্তু শেষের দুটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। হারের পর নিঃসন্দেহে সেসব আফসোস বাড়াবে প্যারিসিয়ানদের। তাছাড়া, পুরো ১১ জন নিয়েও খেলা শেষ করতে পারেনি তারা। ৮৪তম মিনিটে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখানো হয় আবদু দিয়ালোকে। তার ফাউলে পাওয়া স্পট-কিক কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্যাব্রেগাস।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠা ম্যাচে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে জোরালো শটে দর্শনীয় একটি গোল করেন এমবাপে। ৩৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ডি-বক্সে রাফিনহা ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। দুই মিনিট পর মইসে কিন লক্ষ্যভেদ করলেও তা ভিএআরে বাতিল হয়ে যায়। ৪৪তম মিনিটে এমবাপের গোলও টেকেনি একইভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে পিএসজির রক্ষণে ভীতি ছড়ায় মোনাকো। ৫২তম মিনিটে গোছালো আক্রমণের সুফল পায় তারা। খুব কাছ থেকে নিশানা ভেদ করেন জার্মান স্ট্রাইকার ভোলান্ড। ৬৫তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ফ্যাব্রেগাসকে আটকাতে গিয়ে গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। কিন্তু পরাস্ত হন তিনি। ফ্যাব্রেগাসের পাস পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠানোর বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন ভোলান্ড।
দুদলই এরপর জয়ের খোঁজে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। ৬৮তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিক পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে। সাত মিনিট পর সুযোগ হাতছাড়া করেন ফ্যাব্রেগাস। চার মিনিট পর পিএসজির পাবলো সারাবিয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে ৮৪তম মিনিটে কোনো ভুল করেননি ফ্যাব্রেগাস। ফলে শেষ হাসি হেসে মাঠ ছাড়ে মোনাকো।
হারলেও লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে পিএসজি। ১১ ম্যাচে নয় জয় ও তিন হারে তাদের অর্জন ২৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে মোনাকো। এক ম্যাচ কম খেলে তিন নম্বরে থাকা লিলের পয়েন্ট ১৯।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।