Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেলমুক্ত থাকতে সাহারা গ্রুপের সুব্রত রায়কে গুনতে হবে ৮.৪ বিলিয়ন ডলার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ৫:০২ এএম

জেলমুক্ত থাকতে সাহারা গ্রুপের সুব্রত রায়কে গুনতে হবে ৮.৪ বিলিয়ন । ২০১৬ সাল থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন ভারতের সাহারা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুব্রত রায়। দেশটির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড (সেবি) সুপ্রিম কোর্টকে বলল, অবিলম্বে তাকে ৮.৪ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৬২ হাজার ৬০০ কোটি রুপি দিতে বলা হোক, অন্যথায় তার প্যারোল বাতিল করা হোক। সুব্রত রায়ের সম্পদের পরিমান দেড়’শ বিলিয়ন ডলার বলে আদালতে জানানো হয়। -ব্লুমবার্গ, ওয়াল

সেবি জানায়, সুব্রত রায়ের দু’টি কোম্পানিকে ৮ বছর আগে ২৫ হাজার ৭০০ কোটি রুপি দিতে বলা হলেও তিনি সেই টাকা দেননি। তা সুদে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬২৬০০ কোটি রুপি। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, সাহারা গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলো বেআইনিভাবে ৩৫০ কোটি ডলার বা প্রায় ২৬ হাজার কোটি রুপি তুলেছে। লাখ লাখ মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা জমা না রেখে সাহারাকে টাকা দিয়েছেন। সাহারা তাদের টাকা ফেরত দিতে পারেনি। এ কারণে সুব্রত রায়কে জেলে যেতে হয়। সাহারা গ্রুপ এক বিবৃতিতে বলেছে, সেবির বক্তব্য সম্পূর্ণ অন্যায্য। বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। সেবি ‘অন্যায়ভাবে’ সেই টাকার ওপরে ১৫ শতাংশ সুদ ধার্য করায় শেয়ারবাজার থেকে যে পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছিল, সেবি তার দ্বিগুণ ফেরত চাচ্ছে। নেটফ্লিক্সের ‘ব্যাড বয় বিলিওনেয়ার্স’ সিরিজে সুব্রত রায়ের মামলাটি দেখানো হয়েছে। তিনি একসময় বিমান কোম্পানি, ফর্মুলা ওয়ান টিম, ক্রিকেট টিম, লন্ডন ও নিউ ইয়র্কে দামি হোটেল এবং অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক ছিলেন। তাকে দু’বছর জেলে থাকতে হয়। আপাতত ১৫ হাজার কোটি রুপির বেশি ফেরত দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট এখনও জানায়নি তার মামলা কবে শোনা হবে। সুব্রত রায় ভারতের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০ জনের অন্যতম।

২০০৪ সালে টাইম ম্যাগাজিন জানায়, ভারতীয় রেলের পরেই এদেশে সবচেয়ে বেশি চাকরি দেয় সাহারা গোষ্ঠী। ভারতে তখন সাহারার ৫ হাজারের বেশি অফিস ছিল। প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ওই কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ১৯৭৬ সালে সাহারা ফিনান্স নামে এক চিট ফান্ড কোম্পানিতে যোগ দেন সুব্রত রায়। পরে তিনি কোম্পানিটি কিনে নেন। ১৯৭৮ সালে তিনি কোম্পানির আর্থিক মডেলটি বদলে দেন। নব্বইয়ের দশকে সুব্রত রায় সাহারার সদর দফতর তৈরি করেন লখনউতে। ১৯৯২ সালে সুব্রত রায় ‘রাষ্ট্রীয় সাহারা’ নামে এক সংবাদপত্র চালু করেন। ন’য়ের দশকের শেষের দিকে পুনের কাছে শুরু করেন অ্যাম্বি ভ্যালি প্রকল্প। ২০০০ সালে চালু হয় সাহারা টিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ