মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের আইনে ‘লাভ জিহাদ’-এর কোনও অস্তিত্ব নেই বলে চলতি বছরের শুরুতেই পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন আনতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ সব ঘটনায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি’র তীব্র সমালোচনা করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত বলেন, ভারতে বিভাজন ঘটানোই লক্ষ্য বিজেপির। সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাঁধাতে চায় তারা। তার জন্যই ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটা তৈরি করেছে। এদিকে, মধ্যপ্রদেশের পর এ বার উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে কড়া আইনের প্রস্তাব আনতে চলেছে।
‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে শুক্রবার বিজেপিকে সমালোচনা করে পর পর তিনটি টুইট করেন গহলৌত। তিনি লেখেন, ‘দেশে বিভাজন ঘটানো এবং সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাঁধানোর লক্ষ্যে লাভ জিহাদ শব্দটা তৈরি করেছে বিজেপি। বিয়ে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ব্যাপার, আইন এনে তাতে বাধা দেয়া সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং দেশের কোনও আদালতই এতে সায় দেবে না। ভালবাসার সম্পর্কে জিহাদের কোনও জায়গাই নেই।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এমন একটা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যেখানে নিজের ইচ্ছেয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক। বরং রাষ্ট্রের অনুগ্রহে থাকতে হবে তাদের। বিয়ের মতো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার সমান।’ দেশের সংবিধানে কোনও কিছুর ভিত্তিতে নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রকে বৈষম্যমূলক আচরণ না করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সংবিধানকে তাচ্ছিল্য করছে বলেও অভিযোগ করেন গহলৌত।
তার জবাবে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত দাবি করেন, ‘লাভ জিহাদ’-এর নামে বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে না, বরং কংগ্রেসই রাজনৈতিক স্বার্থে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’-এর মতো শব্দের প্রচলন ঘটিয়েছিল। তিনি লেখেন, ‘ক্ষমতার লোভে হিন্দু সন্ত্রাসের মতো শব্দ তৈরি করা, ঘৃণা ছড়ানো, এ সব কংগ্রেসের কাজ। বিজেপি সকলের উন্নতিতে বিশ্বাস করে। তাই আমাদের মেয়েদের লাভ জিহাদের মতো বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে দেব না।’
গেরুয়া শিবিরে ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মধ্যপ্রদেশের পর এ বার তারাও ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে কড়া আইনের প্রস্তাব আনতে চলেছে। সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ইতিমধ্যে আইন দফতরকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। শুক্রবার সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। এর আগে হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারও এর বিরুদ্ধে আইন আনতে চলেছে বলে জানিয়েছিল। ফলে বলা চলে, একে একে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো একইভাবে ভিন্ন ধর্মে বিবাহের বিষয়টি নিয়ে আইনজারির পথে হাঁটছে। তবে হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম যুবকের বিয়েতেই যাবতীয় আপত্তি তাদের। মুসলিম মেয়ের হিন্দু পরিবারে বিয়েতে কোনও আপত্তি তোলেনি তারা। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।