Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাইডেনকে সহযোগিতা করতে ট্রাম্পকে চিকিৎসকদের চাপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৮ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। এ পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ভর্ৎসনার শিকার হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদপত্র জানিয়েছে, মহামারী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টিমকে সহযোগিতা করতে ট্রাম্পকে এই চাপ প্রয়োগ করছে মার্কিন স্বাস্থ্য সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। সংবাদসূত্র : রয়টার্স

নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার না করে ট্রাম্পের একগুঁয়েমিতে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। এদিকে, চলতি শীতে মহামারি পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে দেশটিতে যে হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে, তাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ সত্যি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন দৈনিক এক লাখের আশপাশে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। দৈনিক মৃত্যুও হাজার ছাড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে হেরে যাওয়া এবং নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় মহামারি মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় কৌশল নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জাতীয়ভাবে কৌশল নির্ধারণে শূন্যতার ফলে স্বাস্থ্যখাত এবং স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনকে মহামারি নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে চরমভাবে ভুগতে হচ্ছে। এ অবস্থায় 'আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন', 'আমেরিকান নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন' এবং 'আমেরিকান হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশন'র প্রধানরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, 'মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হলে সবার আগে জানতে হবে আমাদের কী পরিমাণ সহায়তা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের কী পরিমাণ ওষুধ ও রোগ শনাক্তের সরঞ্জামাদির যোগান আছে, চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষায় কত পিপিই আছে, কতটি ভেন্টিলেটর আছে, হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কতগুলো শয্যা বরাদ্দ আছে এবং কতজন চিকিৎসাকর্মীকে কাছে পাওয়া যাচ্ছে তার প্রকৃত তথ্য এবং পরিসংখ্যান নতুন প্রশাসনকে অবশ্যই জানাতে হবে। যাতে অগণিত মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়।'

এই চিঠি প্রকাশের একদিন আগে বাইডেনও সতর্ক করে বলেছিলেন, 'যদি তার হবু প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু না হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এভাবে বাধা দিতে থাকেন, তবে আরও অনেক মানুষের প্রাণ যাবে।'

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের যে সংস্থা নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াগুলো শুরুর দায়িত্ব পালন করে, সেই জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) এখনো বাইডেন ও তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসের জয়কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

এ কারণে নিয়ম অনুযায়ী সম্ভাব্য পরবর্তী প্রশাসনকে যেসব বিষয়ে অবহিত করার কথা, তা শুরু হয়নি, স্পর্শকাতর নানা ব্রিফিংয়ে বাইডেন ও কমলা শিবিরের লোকজন থাকতে পারছেন না। বাইডেনের সহযোগীরা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে অস্বীকার করায় বাইডেনের টিম টিকা বিতরণ নিয়ে কৌশল তৈরির পরিকল্পনায় থাকতে পারছে না। এ নিয়ে বাইডেন বলেন, 'কেউ কি বুঝতে পারছেন? এটি জীবন বাঁচানোর বিষয়, বাস্তবেই এটি অতিরঞ্জিত কোনো কথা না। আমরা সমন্বয় না করলে আরও লোক মারা যেতে পারে।' সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ