Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

...রবে না গোপনে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কয়েকটি প্রচলিত শব্দ, ‘মেয়েদের বয়স আর ছেলেদের আয় কখনও ফাঁস করতে নেই।’ কিন্তু এবার ছেলেদের আয় আর গোপন থাকার উপায় নেই। ফাঁস করতেই হবে। স্ত্রী চাইলেই স্বামীর প্রকৃত আয় জানতে পারবেন।
স্বামী যদি সরাসরি নিজের বেতন সম্পর্কে স্ত্রীকে তথ্য না দেন, তাহলেও তথ্যের অধিকার আইনে স্ত্রী সব জানতে পারবেন। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের জাতীয় তথ্য কমিশন। সুতরাং, এরপর থেকে অন্তত স্ত্রীর কাছে আর নিজের আয়রে তথ্য লুকিয়ে রাখতে পারবেন না স্বামী।
স¤প্রতি, রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর জেলার বানু নামে এক মহিলা আয়কর দফতরের কাছে নিজের স্বামীর আয় সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু আয়কর দফতর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তাদের যুক্তি ছিল, স্বামীর আয়ের সঙ্গে যেহেতু তৃতীয় একটি সংস্থা জড়িত আছে, তাই সেই তথ্য এভাবে দেওয়া যাবে না।
হতাশ হলেও রহমত বানু সিদ্ধান্ত নেন আয় তিনি জেনেই ছাড়বেন। তাই তিনি হাজির হন, জাতীয় তথ্য কমিশনের। আর জাতীয় তথ্য কমিশন রায় দেয় বানুর পক্ষেই। যোধপুরের আয়কর দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই মহিলার স্বামীর আয়ের যাবতীয় তথ্য তার হাতে তুলে দিতে হবে। জাতীয় তথ্য কমিশনের সাফ কথা, স্বামীর আয় কত, জানার অধিকার স্ত্রীর আছে।
জাতীয় তথ্য কমিশনের এই রায়ের অর্থ হল, কোনো বেসরকারি সংস্থার কর্মীও এখন থেকে নিজের আয়ের বিষয়ে স্ত্রীকে হিসেব দিতে বাধ্য থাকবেন। এর আগে ২০১৪ সালে এই নিয়ম চালু হয়েছিল সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে।
এখন থেকে পুরুষরা সরকারি, বেসরকারি যে সংস্থাতেই কর্মরত থাকুন না কেন, স্ত্রীর কাছে নিজের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসেব দিতেই হবে। গোপন করে নিজের জন্য আলাদা করে সঞ্চয় বা খরচ করার কোনো উপায় নেই। তথ্য কমিশনের এই নির্দেশে নিঃসন্দেহে গৃহিণীদের মুখে হাসি ফোটাবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, জি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বয়স

২০ মার্চ, ২০২২
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ