মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বয়স এগিয়েই যাবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে থামানো সম্ভব নয়। আর এই প্রক্রিয়াটি একমুখী। জন্মের পর ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাই মৃত্যুর দিকে। ঠিক এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে বয়স। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই চায়, যদি কোনওভাবে বয়স ধরে রাখা যেত! যদি বয়সের গতিকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব হতো! সত্যি এমন জীবনই একাধিক মানুষ কল্পনা করে এসেছেন। কিন্তু উপায় মানুষের কাছে নেই।
সাধারণ মানুষের চিন্তাও সীমিত। অপরদিকে এমন বিজ্ঞানীও রয়েছেন যারা বিশ্বাস করেন বয়সকেও আটকে দেওয়া যায়। তাদের মতে বয়স হল একটি রোগ। তাই অন্যান্য বিভিন্ন রোগের মতো তারা এই বয়স বাড়ার রোগটিরও খুঁজে চলেছেন চিকিৎসা।
এই বিষয়টি নিয়ে নানা কাজ চলছে। তবে অ্যালটস নামক একটি ল্যাবও এর পিছনে কাজ করছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমাজন সিইও জেফ বেজস বিশাল অঙ্কের টাকা ঢেলেছেন এই গবেষণার পিছনে। এবার জেফ বেজসের মতো একটি মানুষ সবসময়ই সময়ের থেকে এগিয়ে থাকেন। তিনি ইতোমধ্যেই ঘুরে এসেছেন মহাকাশ থেকে। এবার তবে কি তিনি অমরত্বের খোঁজে লেগে পড়েছেন?
এদিক অ্যালটস ল্যাব কিন্তু নিজের লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। তারা এমন একটি পদ্ধতির খোঁজ করতে চান যা কোষের স্বাস্থ্য বদলে দিতে পারে। এই দলে রয়েছেন পৃথিবীর অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীরা। এমনকী তাদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীও রয়েছেন। তবে অ্যালটসের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি খোলসা করে দেওয়া হয়েছে যা কারও অমরত্ব পাওয়ার জন্য তারা খাটছেন না। বরং সকলেই যাতে সুবিধা পেতে পারেন, তার জন্যই তারা গবেষণা করে চলেছেন।
ডেভলপমেন্টাল বায়োলজিস্ট জুয়ান কার্লোস ইসপিসুয়া মনে করেন আগামী ২০ বছরের মধ্যেই আমরা বয়সকে হারিয়ে দিতে পারব। তার কথায়, আগামী দুই দশকের মধ্যে এমন একটি হাতিয়ার আমাদের কাছে থাকবে যা রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি রোগের আগাম পূর্বাভাস দিতে পারবে। এমনকী কোষকে দিতে পারবে নতুন জীবন। আমরা চাই এমন একটি অস্ত্র মানুষের হাতে তুলে দিতে যা রোগে আক্রান্ত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতিকে সøথ বা আটকে দিতে পারবে।
এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে সেলুলার রিপোগ্রামিং পদ্ধতি। বায়োটেকনোলজির মাধ্যমেই ঘটবে গোটা বিষয়টি। ডিজানেরাশেন থাকে রিজেনারেশন করা হবে। আর এর ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। ইতোমধ্যেই প্রাণীর দেহে এই বয়স ধরে রাখার বিষয়টি কার্যকর করা গেছে।
এক্ষেত্রে ইজপিসুয়া এবং সিন্না ইয়ামাঙ্কার মতো নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর গবেষণাতেও উঠে এসেছে একই তথ্য। তারা মধ্যবয়স্ক ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করেন। তারা ইঁদুরের বয়স ধরে রাখতে সক্ষম হন। এমনকী এই ইঁদুরের বয়সের অনুযায়ী হিসাব করলে মানুষের আয়ু প্রায় ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।
তবে ইঁদুর থেকে মানুষের অনেক পার্থক্য। তাই এবার বিজ্ঞানীরা চাইছেন বানরের উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে। তারপর না হয় মানুষের উপর হবে পরীক্ষা। তবে আগামীদিনে যে বয়সকে ধরে রাখা সম্ভব হবে, এই বিষয়টি আশা করাই যায়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।