Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ষড়যন্ত্র তত্ত্বে সমর্থন না দেয়ায় এবার ট্রাম্পের সাইবার প্রধান বরখাস্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধ মত পোষণ করলে কী হয়, তা সবাই এখন মোটামুটি জানেন। এ বার সাইবার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিওরিটি প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করে তিনি আবারও সেই বার্তা দিলেন।

হোয়াইটহাউস সূত্রে খবর, ট্রাম্প যে নিরন্তর ভোটে ‘কারচুপি’ ও ‘জালিয়াতি’-র তত্ত্ব দিয়ে আসছেন, তাতে সমর্থন জানাননি ক্রিস ক্রেবস। ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, দুটো সুপার কম্পিউটার ‘হ্যামার’ এবং ‘স্কোরকার্ড’ ভোটের ফল বদল করার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু ক্রেবস বলেছিলেন, তেমন কোনও সুপার কম্পিউটার নেই। এটা বলার ‘অপরাধেই’ তাকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।

আগের অনেকের মতোই ক্রেবসও তার চাকরি যাওয়ার খবর জানতে পেরেছেন ট্রাম্পের টুইটে। তবে, মাইক্রোসফটের সাবেক ওই কর্মকর্তার এ নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। গত দু’বছর ধরে তিনি ট্রাম্পের ভোটের জন্য তৈরি উইং চালাচ্ছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে রুশ খবরদারি রুখতে তাকে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, আমেরিকার নির্বাচনে বিভিন্ন রুশ সংস্থা আমেরিকাবাসীকে প্রভাবিত করেছে। ওই উইংয়ের কাজ ছিল আমেরিকা নির্বাচনে ইন্টারনেটের মধ্যে দিয়ে ট্রাম্প-বিরোধী প্রচার যতটা সম্ভব আটকানো। গত সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারকে ছেঁটে ফেলছিলেন ট্রাম্প। কারণ, তিনি মনে করেছেন, এস্পার যথেষ্ট ‘অনুগত’ নন। শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প যখন শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ছাড়বেন, তার আগে সিআইএ ডিরেক্টর গিনা হ্যাস্পেল এবং এফবিআই-এর ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার ওরেইকেও হয়তো বরখাস্ত করে ফেলবেন।

নির্বাচনে হেরে গেলেও এখনও তা মানতে চাইছেন না ট্রাম্প। একবার মানছেন বাইডেন জিতেছেন, তো পরক্ষণেই মত বদলে বলছেন ‘ভোট চুরি হয়েছে’, ‘ব্যাপক রিগিং হয়েছে’। ঘটনাচক্রে, ভোট পরিচালনার দায়িত্বে যে কর্মকর্তা ছিলেন তিনি সম্প্রতি বলেছেন, এই নির্বাচন আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ‘নিরাপদ’ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভোটে ব্যাপক ‘কারচুপি’ হয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থনে তার ভক্তরাও রাস্তায় নেমেছেন। মিছিল করছেন। তাদের তাতাতে ডন আরও বেশি করে বলছেন ভোটে জালিয়াতির কথা।

ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়া নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী নাটক করতে পারেন, আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। এক দিকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, তার মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা— এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ বর্তমানে মার্কিন প্রশাসন। তারই মধ্যে, একের পর এক কর্তাকে ছেঁটে ফেলছেন তিনি। তালিকায় শেষতম সংযোজন ক্রিস ক্রেবস। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ