মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কক্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করে ফেলা হচ্ছে। এবার বিহার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেও তারা আবার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিল তারা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে ১৪ জন শপথ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনও মুসলমান নন। যা ১৬ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে একেবারে নজিরবিহীন।
বিতর্ক থামাতে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রসারণের সময় মুসলিম প্রতিনিধিকে বিহার মন্ত্রিসভার সদস্য করা হবে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এবার বিহারে এনডিএ-র কোনও মুসলিম বিধায়কই নেই। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১২৫টি আসন নিয়ে পাটনার মসনদ দখল করেছে বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারসহ মোট ১৪ জন মন্ত্রী শপথও নিয়েছেন। যাদের মধ্যে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ মোট সাতজন বিজেপির বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী-সহ পাঁচজন জেডিইউ বিধায়ক ও বাকি দুজন হাম ও ভিআইপি’র সদস্য। গুরুত্বের নিরিখে দেখতে গেলে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরই রয়েছে বিজেপির হাতে। তবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন নীতীশ কুমার।
রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, বিজেপি’র নির্দেশেই চলবেন নীতীশ কুমার ও তার মন্ত্রিসভা। ক্যাবিনেট গঠনেও তার ছাপ পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, গতবার নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একমাত্র মুসলিম প্রতিনিধি ছিলেন খুরশিদ আলম। এবারের মন্ত্রিসভায় দলিত, যাদব, ভূমিহারা, ব্রাহ্মণ, রাজপুত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। নেই কেবল কোনও মুসলমান মন্ত্রী। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, হাম অথবা ভিআইপির তরফে কোনও মুসলিম প্রার্থী ভোটে লড়াই করেননি। একমাত্র নীতীশের দলের ১১ জন প্রার্থী ভোটে লড়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউই নির্বাচনে জিততে পারেননি। গতবারের মন্ত্রী খুশিদ আলমও হেরে গিয়েছেন। উল্টো দিকে মহাজোটের তরফে বহু মুসলিম বিধায়ক রয়েছেন। নথি বলছে, আরজেডির ৭৫ বিধায়কের মধ্যে আটজন, কংগ্রেসের ১৯ জনের মধ্যে চারজন, বামেদের ১৬ জনের মধ্যে একজন, এআইএমআইএমের পাঁচজনই এবং বিএসপির একজন মুসলিম বিধায়ক রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিসংখ্যানই এনডিএ সরকারের মুসলিম প্রীতি ছবি তুলে ধরছে বলে সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।