Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফের ক্ষমতায় আসছে সু চির দল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম

মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আবারও জয় পেয়েছে অং সান সুচির দল। বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ হয়নি।

২০১১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা ত্যাগ করার মতো এবারের মতো দ্বিতীয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিল অং সান সুচির দল এনএলডি। এবারের ভোটের শেষে এগিয়ে রয়েছে সুচির দল। দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২২টি আসন। কিন্তু এনএলডি ৩৪৬টি আসনে জয়লাভ করেছে। গেল রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে মিয়ানমারের নির্বাচন।

এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে সু চির দলের আবার ক্ষমতায় যাওয়া এবং মিয়ানমারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সরকারপক্ষ সু চির দলের আবার জয়ের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সরকার আশা করছে, করোনার কারণে গত আট মাস ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং এ নিয়ে আলোচনা বন্ধ ছিল। তারা আরও মনে করে, এখানে শুধু করোনার বিষয়টিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আটকে দিয়েছিল। নির্বাচনে জয়ের কৌশল হিসেবে সু চি নিজেও রোহিঙ্গা ইস্যুটি কাজে লাগিয়েছেন। তিনি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। তাই সরকারপক্ষ ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ব্যাপক আকারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা না থাকলেও নতুন সরকারের সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবার আলোচনা শুরু হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতকাল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শিগগির শুরু হবে এমন আশার কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী মিয়ানমারের নতুন সরকারকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, আগেই অনুমান করা হচ্ছিল যে এবার বেশি ভোটে জিতবে সু চির দল। তিনি বলেন, আমরা নতুন সরকারকে স্বাগত জানাব। মিয়ানমারের ক্ষমতার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
ড. মোমেন আরও বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচনের পর প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার আলোচনা শুরু করবে। আমরা আলোচনার ব্যাপারে আশায় আছি। চীনের মধ্যস্থতায় আমরা আলোচনা শুরু করব।’ তিনি বলেন, তাছাড়া মিয়ানমার বিভিন্নভাবে আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছিল রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে। তারা (মিয়ানমার) আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাখাইনে কী কী পদক্ষেপ তারা নিয়েছে, এ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করবে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের এটি দেওয়া হবে। এটি সুখবর। আমরা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আর কোনো আলোচনায় বসেনি মিয়ানমার সরকার। অবশ্য বাংলাদেশ আশা করছে, নির্বাচনের শেষে চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার আবার আলোচনা শুরু করবে।
দেশটিতে নির্বাচন ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার অভিযোগে জর্জরিত মিয়ানমারের সরকারের ভাবমূর্তি বিশ্ব পরিমণ্ডলে তলানিতে ঠেকেছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ