মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রথম ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল। টানা ৮ বছর। আর এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে জো বাইডেন ওয়াশিংটনে সাদা বাড়ির দখল নেওয়ার পর, তিনিই হলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি। জিল বাইডেন। তবে পেশায় তিনি একজন অধ্যাপক।
নতুন পদাধিকারী হলেও চাকরি ছাড়ছেন না ৬৯ বছরের বাইডেন পত্মী। আমেরিকার ২৩১ বছরের ইতিহাসে তিনিই হতে চলেছেন প্রথম ফার্স্ট লেডি, যিনি হোয়াইট হাউসে থেকেই চালিয়ে যাবেন তার চাকরি।
১৯৭৭ সালে জো বাইডেনের সঙ্গে বিয়ে হয় জিলের। বছরের পর বছর ধরে তিনিই তার ৭৭ বছরের স্বামীর বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা। একইসঙ্গে তিনি একজন মা, একজন দাদী। আবার পেশায় তিনি ইংরেজির অধ্যাপক। ফার্স্ট লেডি হওয়ার পরও ফুলটাইম চাকরি চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ওহাইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এক অধ্যাপক ক্যাথেরিন জেলিসনের কথায়, ‘বেশিরভাগ আমেরিকান মহিলার একটি কর্মজীবন আর একটি পারিবারিক জীবন থাকে। কিন্তু ফার্স্ট লেডিদের কোনওদিন তা করার অনুমতি ছিল না। হয়তো এবার সেই সময় এসেছে।’
১৯৭২ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় জো বাইডেনের স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যু হয়। দুই ছোট ছেলেকে নিয়ে বাইডেন একা হয়ে পড়েন। অপরদিকে, ১৯৫১ সালে জন্মানো জিল জেকবস ফিলাডেলফিয়াতেই বড় হয়ে ওঠেন। প্রথম স্বামীর সঙ্গে জিলের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া যখন চলে, ঠিক তখনই তার সঙ্গে বাইডেনের দেখা হয়।
সেই সময় বাইডেন একজন মার্কিন সিনেটর। এরপর ১৯৭৭ সালে বাইডেনকে বিয়ে করে তার দুই ছেলে হান্টার ও বিউকে কোলে তুলে নেন জিল। আর ১৯৮১ সালে তার ও বাইডেনের কোলে আসে কন্যা অ্যাশলে।
পরিবার সামাল দিয়েই দুটো মাস্টার ডিগ্রি করেন জিল বাইডেন। এরপর ডক্টরেট করে তিনি নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর আট বছর ধরে প্রেসিডেন্টের আসন অধরা থাকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সন্তুষ্ট থাকা।
ক্যানসারে ছেলে বিউ বাইডেনের মৃত্যু, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার- সবকিছুতেই জো-র হাতে হাত রেখে পাশে থেকেছেন জিল। আর এবার হোয়াইট হাউসেও জো-রই হাত ধরে তিনি এখন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি। সূত্র : নিউজ ১৮, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।