মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সউদী আরবের এক রাজকন্যার বাড়ি থেকে ৭ লাখ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা) মূল্যমানের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই চুরির ঘটনা ঘটে বলে আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।
জানা গেছে, প্যারিসের অ্যাভিনিউ জর্জ ফিফত-তে অবস্থিত এক সউদী রাজকন্যার ফ্ল্যাট থেকে ৩০টি হার্মিস ব্যাগ, একটি কার্টিয়ার ঘড়ি, গহনা এবং ফারসহ বিভিন্ন বিলাসবহুল জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। আগস্টের শেষের দিক থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই চুরি করা হয়। ফ্ল্যাটের মালিক ওই রাজকন্যা গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটাতে ফ্রান্সের দক্ষিণে অবস্থান করছিলেন। তার নাম জানানো হয়নি। তিনি গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে আসার পরে এই চুরির ঘটনা জানতে পারেন।
এ বিষয়ে সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরির ঘটনায় ৪৭ বছর বয়সী ওই রাজকন্যা এতটাই মানসিক আঘাত পান যে তাকে জর্জেস-পম্পিডু ইউরোপীয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখনও পুলিশের সাথে কথা বলেননি। এএফপি জানিয়েছে, প্রসিকিউটররা ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, যা পুলিশের ‘চুরি প্রতিরোধ ব্রিগেড’ পরিচালনা করবে। পুলিশের এই বিশেষ ইউনিট সশস্ত্র ডাকাতি, শিল্প নিয়ে প্রতারণা, গুরুতর কেলেঙ্কারী ও চুরির মতো অপরাধ নিয়ে কাজ করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লে পারসিয়ান জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা স্থানীয় পাড়া-মহল্লায় অনুসন্ধান চালিয়েছে, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রযুক্তিবিদদের কাছ থেকে ফরেনসিক বিশ্লেষণ পেয়েছেন। রাজকন্যার দু’জন আইনজীবী ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের কাছে গিয়েছেন। তদন্তে জানা গেছে, মামলার প্রাথমিক সন্দেহভাজন ব্যক্তি আগস্ট থেকে রাজকন্যার ফ্ল্যাট যে অ্যাপার্টমেন্টে, সেখানেই থাকতেন। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন যে, লোকটি এই চুরির সাথে জড়িত থাকতে পারে। কারণ, ফ্ল্যাটের একসেট অতিরিক্ত চাবির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না এবং চোর রাজকন্যার ফ্ল্যাটে জোর করে ঢুকেছে, এমন কোনও লক্ষণ নেই।
ফরাসী রাজধানীতে উচ্চমাত্রার চুরির ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে সাম্প্রতিক ঘটনা। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে, প্যারিসে এক লোকের হাত থেকে ৯ লাখ ডলারের একটি ঘড়ি চুরি হয়। এটি ছিল সেই বছর প্যারিসে ব্যয়বহুল ঘড়ি চুরির ৭১তম ঘটনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লে ফিগারো জানিয়েছিল, ঘটনার শিকার ৩০ বছর বয়সী জাপানি ওই ব্যবসায়ী সিগারেট খেতে জন্য আর্ক দে ট্রিওম্পের কাছে তার হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন। চোর তার কাছে গিয়ে একটি সিগারেট চায়, এরপর তার কব্জি থেকে ঘড়িটি টান দিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
শহরে চোররা বিলাসবহুল দোকান এবং ধনী দর্শনার্থীদের টার্গেট করে। বিশেষত যারা প্যারিসের সমৃদ্ধ ৮ম অ্যারোনডিসেমেন্টে অবস্থান করেন। সউদী রাজকন্যার ফ্ল্যাটও ওই এলাকায় অবস্থিত। ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলাসবহুল পণ্যগুলি প্রায়শই কালো বাজারে তাদের আসল মূল্য থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হয়। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।