Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী আইনই সার্বিক কল্যাণ সাধন করতে পারে

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কথায় বলে ‘ঠেলার নাম বাবাজী’। দেশে যখন একের পর ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, চারদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠছে, পিতা-মাতারা যখন তাদের ধর্ষক সন্তানদের ফাঁসি চাচ্ছে, তখন সরকারের টনক নড়েছে। সংসদ অধিবেশন লাগেনি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইলের জেলা আদালত ৫ ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের রায় দিলেন। একদিন পরেই ‘ধর্ষণের জন্য কেবল ডাক্তারী পরীক্ষা যথেষ্ট নয়, আনুষঙ্গিক কারণসমূহ ধর্তব্য হবে’ বলে হাইকোর্ট এক রায় ঘোষণা করলেন। এতদিন যেন আদালত সরকারের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল। দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। সবাই যখন সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তখন কিছু পত্রিকা মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে প্রায়ই লেখা ছাপছে। জাতিসংঘের একজন মহিলা কর্মকর্তা এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। অথচ পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই সংস্থাটির সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের নষ্টামির খবর প্রায়ই পত্রিকায় শিরোনাম হয়। যাদের অফিসে মহিলাদের ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই, তারা কেন চাইবে অন্য মহিলাদের ইজ্জত নিরাপদ থাকুক! আমেরিকার মহিলা সেনারা তাদের পুরুষ সেনাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পিস্তল উঁচিয়ে বাথরুমে যায় বলে পত্রিকায় এসেছে। অন্যান্য দেশের এরূপ নোংরা অবস্থাও মাঝে-মধ্যে পত্রিকায় শিরোনাম হয়। যাদের আত্মসম্মান বোধ নেই, তাদের কাছে এসবের বাছ-বিচার থাকবে কেন? আল্লাহ্র ভাষায় এরা পশু বা তার চাইতে নিকৃষ্ট। এরা জাহান্নামের কীট (আ‘রাফ ১৭৯)।

ধর্ষণের এই মৃত্যুদন্ডের শাস্তি ছিল বাংলাদেশের ৪৯ বছরের ইতিহাসে ৮ম মৃত্যুদন্ডের আইন। এই আইন জারিতে নাস্তিক ও বস্তুবাদীদের গা জ্বালা ধরেছে। তারা ধর্ষণবিরোধী মিছিলে হামলা পর্যন্ত করিয়েছে। আর তাদের মিডিয়াগুলিতে এর বিরুদ্ধে কোরাস গাওয়া শুরু হয়েছে। তারা জানেনা যে, এটি মুসলমানদের দেশ। গণতন্ত্রে যদি অধিকাংশের রায়ই চূড়ান্ত হয়, তাহলে এদেশ চলবে অধিকাংশ মুসলিম নাগরিকদের আক্বীদা-বিশ্বাস অনুযায়ী। আর তা হলো ইসলাম যেখানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। সরকার সেটাই করেছে। শুধু এই একটি বিষয় নয়; ইসলামের প্রতিটি আইনই জনকল্যাণের সর্বোচ্চ আইন। মানুষের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তাই মানুষের সবচাইতে বড় কল্যাণকামী হলেন আল্লাহ। ফলে তাঁর প্রতিটি আইনই মানুষের ও সৃষ্টিজগতের সর্বোচ্চ কল্যাণে নিবেদিত। তাঁর শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.) হলেন সৃষ্টিজগতের জন্য ‘রহমত’ স্বরূপ (আম্বিয়া ১০৭)। তিনি আল্লাহ্র বিধানসমূহ বাস্তবায়ন করে গেছেন। অথচ আমরা তাঁর উম্মত হওয়ার দাবিদার হয়েও তাঁর বিধান মানিনা। বস্তুত অধিকাংশ দেশের ন্যায় বাংলাদেশ চলছে পাশ্চাত্য ও নিজেদের মনগড়া আইনে। এদেশের হাইকোর্টের সামনে গ্রিকদের কথিত ন্যায়বিচারের দেবী থেমিসের মূর্তি দন্ডায়মান আছে। সেখানকার মুসলিম বিচারপতি ও আইনজীবীদের বিবেকে একবারও কুরআনী ন্যায়বিচারের বাণী ধ্বনিত হয় না। ফলে দেশে বিচারের নামে চলছে প্রহসন। ধর্ষক, খুনী, মাদক কারবারী ও দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া। সাধারণ মানুষের জীবনে চলছে ত্রাহি অবস্থা। অথচ, নতুনভাবে আইন বানানোর কোনো দরকার নেই। কুরআন ও হাদীসে সব মৌলিক আইন লিপিবদ্ধ আছে। কেবল প্রয়োজন সেগুলি কার্যকর করার।

বস্তুত ইসলামী আইনে বিবাহিত জেনাকারের জন্য ‘রজম’ এবং অবিবাহিতের জন্য একশ’ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন তথা কারাবাস (মুসলিম হা/১৬৯০; নূর ২৪/২)। সেই সাথে ইসলামী সমাজে প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার বেহায়াপনা ও হত্যাকান্ড (আন‘আম ৬/১৫১) এবং নারী-পুরুষের পরস্পরে পর্দাহীনতা সর্বদা নিষিদ্ধ (নূর ২৪/৩০-৩১)। যার ফলে রাসূল (সা.) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের হাতে গড়া খেলাফতকালে খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠে ন্যায়বিচারে পূর্ণ একটি শান্তিময় সমাজ। যে সমাজে ছিল না কোনো কারাগার, ছিল না কোনো পুলিশ। অথচ, সেখানে ছিল শান্তি ও সমৃদ্ধিময় একটি উন্নত মানবিক পরিবেশ।

কিছু নমুনা: (১) জনৈকা মহিলা অন্ধকারে মসজিদে যাওয়ার পথে ধর্ষিতা হয়। লোকেরা ধর্ষককে ধরে এনে রাসূল (সা.)-এর কাছে পেশ করলে সে দোষ স্বীকার করে। তিনি তাকে তখনই ‘রজম’ করার নির্দেশ দেন এবং ধর্ষিতাকে বলেন, তুমি যাও! আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। রজমের পূর্বে লোকটি অনুতপ্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহ্র নিকট তওবা করে। তাতে আপ্লুত হয়ে রাসূল (সা.) বলেন, লোকটি এমন তওবা করেছে, যদি পুরা মদীনাবাসী এমন তওবা করত, তাহলেও তা কবুল করা হতো (তিরমিযী হা/১৪৫৪ প্রভৃতি)। (২) মা‘এয আসলামী নামক জনৈক ব্যক্তি একদিন এসে বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে পবিত্র করুন! তিনি বললেন, কিসের থেকে পবিত্র করব? সে বলল, জেনা থেকে। রাসূল (সা.) বললেন, তোমার ধ্বংস হোক! তুমি ফিরে যাও। আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা চাও ও তওবা কর। লোকটি ফিরে গেল। আবার এল এবং একই কথা বলল। এভাবে চারবার গেল এবং ফিরে এল। রাসূল (সা.) বললেন, দেখতো লোকটি পাগল কি-না? পরে বললেন, দেখতো সে মাতাল কি-না? সবটাতে সুস্থ প্রমাণ হলে তিনি তাকে রজমের আদেশ দেন। দু’দিন পর তিনি এসে বলেন, তোমরা মা‘এয-এর জন্য আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। সে এমন তওবা করেছে, যদি তা পুরা উম্মতের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হতো, সেটি তাদের জন্য যথেষ্ট হতো (মুসলিম হা/১৬৯৫)।

(৩) জনৈকা গামেদী মহিলা একদিন এসে বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে পবিত্র করুন! তিনি বললেন, তোমার ধ্বংস হোক। ফিরে যাও। আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাও এবং তওবা কর। এ সময় সে জেনার মাধ্যমে গর্ভবতী ছিল। সে বলল, আপনি কি আমাকে মা‘এয আসলামীর মতো ফেরৎ দিতে চান? তখন রাসূল (সা.) বললেন, বেশ। তাহলে গর্ভ খালাসের পর এসো। মহিলাটি তাই করল। তখন রাসূল (সা.) বললেন, যাও বাচ্চা দুধ ছাড়িয়ে শক্ত খাবার খেতে শিখুক, তারপর এসো। মহিলাটি পরে এল। সে সময় বাচ্চার হাতে রুটির একটি টুকরা ছিল। সে বলল, হে আল্লাহ্র নবী! বাচ্চাকে দুধ ছাড়িয়েছি। সে এখন খাবার খাচ্ছে। তিনি বললেন, বাচ্চাটির লালন-পালনের ভার কে নিতে পারে? তখন আনছারদের জনৈক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে সম্মতি দিল। তখন তিনি তার হাতে বাচ্চাটি সোপর্দ করলেন। অতঃপর মহিলাকে রজম করার নির্দেশ দিলেন। পরে রাসূল (সা.) বললেন, মহিলাটি এমন তওবা করেছে, যদি অন্যায়ভাবে ট্যাক্স আদায়কারী ব্যক্তি এমন তওবা করত, তবুও তাকে ক্ষমা করা হতো। অতঃপর তিনি তার জানাযা পড়েন ও তাকে দাফন করা হয় (মুসলিম হা/১৬৯৫)। যে জানাযায় স্বয়ং আল্লাহ্র রাসূল তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, কতইনা সৌভাগ্যবতী সে! জান্নাত যেন তাকে ডাকছে!

(৪) কুরায়েশ নেতা আবু জাহলের সম্ভ্রান্ত মাখযূম গোত্রের জনৈকা মহিলা চুরির আসামী হয়। তাকে বাঁচানোর জন্য নেতাদের পক্ষে নাতি উসামা বিন যায়েদকে দিয়ে সুপারিশ করানো হয়। রাসূল (সা.) বললেন, তুমি আমার নিকট আল্লাহ্র দন্ডবিধির ব্যাপারে সুপারিশ করছ? অতঃপর তিনি খুৎবা দিয়ে বলেন, তোমাদের পূর্বেকার উম্মত ধ্বংস হয়েছে একারণে যে, যখন তাদের মধ্যেকার কোনো সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোনো দুর্বল শ্রেণির লোক চুরি করত, তখন তাকে দন্ড দিত। আল্লাহ্র কসম! যদি আজ মুহাম্মাদের কন্যা ফাতেমা চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম (বু. এু. মিশকাত হা/৩৬১০)।

(৫) মদখোরের শাস্তি ৪০ থেকে ৮০ বেত্রাঘাত (বুখারী হা/৬৭৭৯)। চতুর্থবারে মৃত্যুদন্ড। তবে বিচারক মৃত্যুদন্ড অথবা বেত্রাঘাত যেকোন একটি দন্ড দিতে পারেন (তিরমিযী হা/১৪৪৪)। মদখোর জাহান্নামে ‘ত্বীনাতুল খাবাল’ অর্থাৎ জাহান্নামীদের দেহ নিঃসৃত পুঁজ-রক্ত খাবে (মুসলিম হা/২০০২)। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার ‘মদ্য নিবারক আইন’-এর কথা বলা যেতে পারে। ১৯২০ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকার সিনেট ‘মদ্য নিবারক আইন’ পাস করে। কিন্তু ১৯৩৩ সালের ডিসেম্বরে উক্ত আইন বাতিল করে এবং মদ্যপান বৈধ করা হয়। অথচ, ৭ম শতাব্দীর প্রথমার্ধ্বে মদীনায় যখন মদ নিষিদ্ধের আয়াত নাযিল হয়, তখন ঘোষণা শোনা মাত্র মুসলিমরা মদ পান রত অবস্থায় মদের পাত্র ছুঁড়ে ফেলে দিল। গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করে দিল। মদের কলসীগুলো সাথে সাথে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল। মদীনার অলিতে-গলিতে মদের স্রোত বয়ে গেল (বু. এু.)। যারা মদ ছাড়তে চায়নি, তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো। সমাজ জীবন থেকে মদ বিদায় নিল (দ্র. দরসে কুরআন, ১৫/১২ সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০১২)।

ইসলামী আইন ও মানব রচিত আইনের পার্থক্য:
(১) ইসলামী আইন মূলত ধর্মীয় আইন। এখানে ধর্মীয় মূল্যবোধই মুখ্য। পরকালীন জবাবদিহিতার চেতনায় এখানে দোষীরা শাস্তি চেয়ে নেয়। যাতে সে মৃত্যুর আগেই পবিত্র হতে পারে এবং পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে পারে। মানবরচিত আইনে এসবের কিছু নেই। (২) ইসলামী আইনে মানুষের চাইতে মানবতার গুরুত্ব বেশি। ব্যভিচার পরস্পরের সম্মতিতে হোক বা জবরদস্তিতে হোক, দুই অবস্থাতেই মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস হয়। সেই নিরিখে তার শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হয়, যা অন্যদের মধ্যে মানবতার উজ্জীবন ঘটায়।
(২)
(৩) ইসলামী আইনে ব্যক্তির ঊর্ধ্বে সমাজকে স্থান দেওয়া হয়। হত্যার বদলে হত্যা, জখমের বদলে জখম, চোরের হাত কাটা প্রভৃতি আইন উক্ত উদ্দেশ্যে নির্ধারিত। পক্ষান্তরে মানবরচিত আইনে সমাজের ঊর্ধ্বে ব্যক্তি মুখ্য হয়। সেকারণ সেখানে পরস্পরের সম্মতিতে ব্যভিচার, সমকামিতা, পায়ুকামিতা, গর্ভপাত, লিভ টুগেদার প্রভৃতি পশুসুলভ আচরণ ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে সিদ্ধ হয়, যাতে ব্যাপকভাবে সমাজ দূষণ ঘটে। ইসলামী আইনে এগুলি চিরতরে নিষিদ্ধ এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে ইসলামী সমাজে মানবতা নিরাপদ থাকে এবং মানুষ শান্তিতে বসবাস করে।

(৪) ইসলামী আইনে জাকাত ফরয ও সুদ হারাম। এতে অর্থনৈতিক শোষণ বন্ধ হয় ও সমাজে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠিত হয়। একই কারণে জুয়া-লটারীসহ পুঁজিবাদের সকল পথ ও পদ্ধতি ইসলামে পুরাপুরি নিষিদ্ধ।

(৫) ইসলাম কখনোই দন্ডনির্ভর নয়। বরং সর্বদা মানুষকে আল্লাহভীরু করে গড়ে তোলায় সচেষ্ট থাকে, যাতে সে নিজেই অপরাধ থেকে বিরত হয় এবং তওবায় উদ্বুদ্ধ হয়। বস্তুত কেবল দন্ড দিয়ে নয়, বরং আল্লাহভীরু মানুষ সৃষ্টির মাধ্যমেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। নবী-রাসূলগণ সে কাজটিই করে গেছেন। উম্মতের রাষ্ট্রশক্তি ও সমাজশক্তি সে পথেই পরিচালিত হোক আমরা সর্বদা সেই কামনা করি।
লেখক: সাবেক শিক্ষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।



 

Show all comments
  • Jack Ali ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৪২ এএম says : 0
    After liberation from barbarian pakistan, not a single government rule our beloved country by the Law of Allah as such our whole country turn in to hell as such there is no peace/security.. all the harram things are allowed in our country where as we claim ourselves muslim.. Government don't know the meaning of Muslim as such they rule by the Law of Kafir. O'Muslim in Bangladesh wake up and establish the Law of Allah who created you from despised water.. Only Allah's Law can bring peace/security/prosperity and we will be able live in our country with human dignity.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন