মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন নির্বাচনে ভোটগণনার শেষ মুহূর্তে এসেও দোদুল্যমান পরিস্থিতি। তবে এখন পাল্লা অনেক ভারী জো বাইডেনের দিকেই। মাত্র ৬টি রাজ্যের ভোটগণনা বাকি। এর মধ্যে জর্জিয়ায় রীতিমতো সুতায় ঝুলছে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান। সেখানে ভোট গণনায় জো বাইডেন এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ১ হাজারেরও কম ভোটে এগিয়ে গেছেন। আর মাত্র কয়েক হাজার ভোট গণনা বাকি আছে।
তবে কঠিন হলেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনাও। সরকারীভাবে ঘোষিত রাজ্যগুলির নিরিখে এখন ফল বাইডেন ২৫৩, ট্রাম্প ২১৪।
জর্জিয়ার ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। এই রাজ্য বাইডেনের পক্ষে গেলে তার ঝুলিতে ২৬৯টি ইলেকটোরাল ভোট আসবে, অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য মাত্র একটি বাকি থাকবে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। জর্জিয়ায় বাইডেনের জয় ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সরাসরি বিজয়ের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিবে। ট্রাম্প যদি বাকি রাজ্যগুলোতে জয়ীও হন – যেটার সম্ভাবনা খুবই কম – তাহলেও তিনি ২৬৯টি ইলেকটোরাল ভোট পাবেন, যার ফলে এই প্রতিযোগিতা অমীমাংসিত বা ড্র হবে যেটা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। জর্জিয়ায় বাইডেনের বিজয় ডেমোক্র্যাট পার্টির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে। এই রাজ্য ১৯৬৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র চার বার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে শেষ বার এই রাজ্য থেকে জিতেছিলেন বিল ক্লিনটন, ১৯৯২ সালে। জর্জিয়ার আশে-পাশের রাজ্যগুলো সব রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে, আমেরিকার রাজনৈতিক মানচিত্রে যেগুলো লাল রং-এ দেখানো হয়। বাইডেন জয়ী হলে মানচিত্রে জর্জিয়া হবে লাল সমুদ্রে একটি নীল দ্বীপ।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন রিপাবলিকানরা। কিন্তু গণনা যত এগিয়েছে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন বাইডেনের ডেমোক্র্যাটরা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন দেড় হাজারের মতো ভোটে। কিন্তু বিকালে গণনায় দেখা গেছে, ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে ৯০০ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন বাইডেন। ফলে এখানে যে কেউ জিততে পারেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই জর্জিয়ায় জিতে গেলেই বাইডেনের সামনে কার্যত হোয়াইট হাউসের রাস্তা পরিষ্কার।
পেনসিলভেনিয়াতেও ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন বাইডেন। এই রাজ্যে ইসি ভোট ২০টি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনা হয়েছে ৯৫ শতাংশ ভোট। তাতে এখন ব্যবধান মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই ব্যবধান ছিল দেড় শতাংশেরও বেশি। তবে নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প এগিয়ে প্রায় দেড় শতাংশে। এখানেও গণনা শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশের মতো। এই তিন রাজ্যই রিপাবলিকানদের ঘাঁটি। ইসি ভোটের নিরিখে তিনটিই বড় রাজ্য। ফলে জর্জিয়া বা পেনসিলভেনিয়ার যে কোনও একটিতে রিপাবলিকানরা জিতলেই কিন্তু বাইডেনের জয় নিশ্চিত। আলাস্কায় (ইসি ভোট ৩) ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত। অন্য দিকে ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি দুই রাজ্য অ্যারিজোনা (ইসি ভোট ১১) এবং নেভাদায় (ইসি ভোট ৬) এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। অ্যারিজোনায় দু’জনের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান দেড় শতাংশের মতো। নেভাদায় ১ শতাংশেরও কম। পর্যবেক্ষকদের মতে, অ্যারিজোনা বা নেভাদা হারিয়েও যদি জর্জিয়া বা পেনসিলভেনিয়ায় জিততে পারেন বাইডেন, তা হলেই কিস্তি মাত করে দিতে পারবেন।
উল্টো দিকে অঙ্কের হিসেবে ট্রাম্পের সামনেও রাস্তা খোলা রয়েছে। আলাস্কায় জয় প্রায় নিশ্চিত তার। পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলিনা ধরে রেখে যদি অ্যারিজোনা বা নেভাদার যে কোনও একটি শেষ মুহূর্তে জিতে যান, তা হলে কিন্তু দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসের মসনদে তিনিই বসবেন। যদিও এই সমীকরণ বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন আমেরিকার ভোট পর্যবেক্ষকরা। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।