চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : মেলা কি? কবে থেকে মেলার প্রচলন হয়? মেলায় যাওয়া এবং মেলা থেকে ক্রয় করা জিনিস খাওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?
উত্তর : কোনো বিশেষ উপলক্ষে হরেক রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় বা শখের সামগ্রীর পসরা মেলে দোকানীরা যেখানে বসে, ছেলে-বুড়ো সবাই যেখানে গিয়ে বিনোদনমূলক কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া করে, ঘুরে বেড়ায়, তাকেই মেলা বলা হয়। মেলা বহু ধরনের হতে পারে। যেমন বইমেলা, নববর্ষের মেলা, নবান্নের মেলা ইত্যাদি। এক কথায় কোনো মেলাকে জায়েজ বা নাজায়েজ বলা মুশকিল। কেনন, রুচীশীল কোনো মেলা যদি একটি বিশাল হাটের বা শরীয়তসম্মত বিনোদনের কেন্দ্রের রূপ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এতে যাওয়া বা কিছু খাওয়াতে খারাপ কিছু হবে বলে মনে হয় না, তবে ইসলামী চেতনা, বিশ্বাস, শিক্ষা আদর্শ ও রুচির পরিপন্থী কোনো মেলা, যেখানে শালীনতা, পর্দা ও ঈমান-আকীদা বিরোধী ক্রিয়াকলাপ অবাধ গতিতে চলে তাতে অংশগ্রহণ ইসলাম সমর্থন করে না। বিধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অশংরূপে অনুষ্ঠিত কোনো মেলা বা উৎসবে যোগদান সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ওসব মেলার কোনো জিনিস খাওয়াও ইসলামী আত্মমর্যাদাবোধের পরিন্থী।
মেলার প্রচলন মানব জাতির ইতিহাসের সমান প্রাচীন। প্রাগৈতিহাসিক যুগেও উৎসবের সময় মেলা বসার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ইসলামপূর্ব যুগে আরবের বিভিন্ন মেলার কাহিনীও ইতিহাসে রয়েছে। উপমাদশেও মেলা হাজার বছরের পুরোনো লোক-ঐতিহ্যরূপে স্বীকৃত। প্রাচীন রোম, পারস্য ও চীনেও মেলার প্রচলন ছিল বলে পুঁথি-পুস্তকে প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি জেনে শুনে হারাম অর্থ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করছে, আখেরাতে তার এ দিয়ে কোনো ফায়দা হবে কিনা, জানতে চাই।
উত্তর : হারাম অর্থ দিয়ে কোনো সওয়াব আশা করা যায় না। জেনে শুনে সওয়াব আশা করলেও ঈমানের ক্ষতি হয়। অতএব, এ ক্ষেত্রে আখেরাতে ফায়দা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।