মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে গেলেও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে বিশ্ববাসী। কারণ এখনো জানা যায়নি কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের জয় দাবি করে আদালতের যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে জটিলতার মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভোটের ফলাফল বের হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের জয়ের ঘোষণা দিয়ে বসেন গতকাল। শুধু ঘোষণা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত দেননি। রিপাবলিকানরাই নির্বাচনে জিতছে এই মর্মে তিনি ভোট গণনা বন্ধে সুপ্রিম কোর্টকে নির্দেশ দিতেও আহ্বান জানান। ট্রাম্পের এই আহ্বানে দেশটির রাজনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক, অধিকারকর্মীরা ছাড়াও খোদ রিপাবলিকান দলেই সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এক রিপাবলিকান আইনজীবী তো প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে এমন বিতর্ক থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
কে হতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট, এই অপেক্ষায় বিশ্বের অধিকাংশ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন। নিজেদের কোনো মন্তব্য দিয়ে তারা নির্বাচনী পরিস্থিতিতে নতুন করে কোনো আগুন জ্বালাতে চাইছেন না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘আসুন আমরা ফলাফল কী আসে তার অপেক্ষা করি। নিশ্চিতভাবেই নির্বাচনকে ঘিরে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা আছে। আমার মনে হয় অনেকেই যা আশা করছেন, আমরা তার খুব কাছাকাছি আছি।’
রাব ও অন্যরা যখন সতর্ক অবস্থানে আছেন তখন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগ বাড়িয়ে এক টুইটবার্তায় রিপাবলিকান পার্টির মাধ্যমে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভোটে জেতার জন্য। টুইটবার্তায় জানেজ জানসা বলেন, ‘আমেরিকার জনগণ স্পষ্টতই নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মাইক পেন্সকেই আরও চার বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে।’ জানসার ধারাবাহিকতায় ট্রাম্পের আরেক মিত্র হাঙ্গেরির ভিক্তর অরবানও রিপাবলিকান শিবিরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাশিয়া থেকে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া থেকে কেনিয়া এবং সমগ্র ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকা থেকে অনলাইনে #ট্রাম্প, #বাইডেন, #ইউএসইলেকশনস২০২০ দেওয়া হচ্ছে। এই হ্যাশট্যাগ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্ব কতটা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে নির্বাচনী ফলের। রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ তুলছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে ক্রেমলিনপন্থি আইনপ্রণেতা ভায়চেসলভ নিকনভ রুশ জনগণকে পরামর্শ দিয়েছেন, হাতে পপকর্ন নিয়ে টেলিভিশনের দিকে নজর রাখতে। তার মতে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের বিভক্তি সামনে আসছে।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণও অপেক্ষা করে আছে। লাল রঙের ‘মেইক ইউরোপ গ্রেট অ্যাগেইন’ লেখা সংবলিত টিশার্ট পরে গ্লেন রবার্টস নামের এক অস্ট্রেলীয় রয়টার্সকে বলেন, ‘ট্রাম্প জয় পেলে তা হবে বড় সংবাদ। কখন কী ঘটে তা বলা যায় না। কিন্তু আমি মনে করি, ট্রাম্প না জিতলে পুরো ব্যাপারটি পানশে হয়ে যাবে।’
নির্বাচনের ফল প্রকাশ দেরি হওয়া নিয়ে সমালোচনা চলেছে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। উইবুতে এক চীনা লেখেন, ‘যেই জিতুক বা হারুক, তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস করা।’ অন্য একজন লেখেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিততে দিন এবং তাকে আমেরিকাকে নিচে নামাতে দিন।’ নাইজেরিয়ার শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক ও সিনেটর শেহু শনি বলেন, ‘আফ্রিকা আমেরিকান গণতন্ত্র সম্পর্কে জানে। আমেরিকা এখন আফ্রিকান গণতন্ত্র সম্পর্কে জানছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।