মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নির্বাচন হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু পুরো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের ঘুম হারাম। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য আর এশিয়ার দেশগুলোর টেনশন যেনো সবচেয়ে বেশি। এশিয়ার দেশ ভারত-পাকিস্তান এবং চীনের গণমাধ্যমগুলো দুই ভাগ হয়ে পড়েছে।
বিহার নির্বাচন বা অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তার নয়, ভারতীয় মিডিয়াও ব্যস্ত ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নিয়ে৷ কূটনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে তারা টেনে আনছে চীনকেও৷
ট্রাম্প না জো বাইডেন? কে জিতলে ভারতের লাভ? এমন সমীকরণে গেল কয়েকদিন ধরেই ব্যস্ত ভারতীয় গণমাধ্যম৷ বিশ্লেষকরা একের পর এক মতামত, মন্তব্য প্রতিবেদনে ভরিয়ে ফেলছেন পত্রিকার পাতা৷ টিভিজুড়ে চলেছে সংলাপ৷ এমনকি নির্বাচনের দিন ভারতীয় টিভি পর্দাগুলো জুড়ে মার্কিন মুল্লুকের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের খবরই গুরুত্ব পাচ্ছে৷ অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ট্রাম্পের পরাজয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আর্তনাদ করছে।
এদিকে একইদিনে বিহার রাজ্যে চলছে নির্বাচন এবং তারকা সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে চ্যাংদোলা করে পুলিশের গ্রেপ্তারও বড় ঘটনা এদিনকার মিডিয়ায়৷ তবে এসবকে ছাপিয়ে গেছে মার্কিন নির্বাচন৷
আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে ট্রাম্পের বক্তব্য-অভিযোগ এগুলোকেই ওপরে থেকেছে৷ দ্য হিন্দুতেও শিরোনামে মার্কিন নির্বাচনের লাইভ আপডেট৷ ট্রাম্পের কোর্টে যাবার হুমকি ধামকিগুলোও গুরুত্ব পেয়েছে৷ তারা ‘হাউজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভস’দের নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাটিক চার প্রার্থীর সবাই জিতেছে৷ একই খবর গুরুত্ব পেয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতেও৷
পত্রিকাগুলো কিছু বিশ্লেষণও ছেপেছে ৷ সেখানে বলা হচ্ছে, কৌশলগত দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেক দ্রুত গভীরে পৌঁছেছে৷ তাই ফলাফলের ওপর এই সম্পর্কের গভীরতায় পরিবর্তন আসতে পারে৷ কিন্তু সেই সম্পর্কের প্রভাব বেশ কিছু ভূরাজনৈতিক সমীকরণের ওপর নির্ভরশীল৷ চীন, ইন্দো-প্যাসিফিক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ইস্যুগুলোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরো বলা হচ্ছে, কাশ্মীর ইস্যু, নাগরিকত্ব আইন, দিল্লি রায়ট এসব বিষয় নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা সরব৷ কিন্তু ট্রাম্প এসব নিয়ে নিশ্চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নেন৷ তাই প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হলে এসব বিষয়েও এর প্রভাব পড়বে৷ ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।